আরও পড়ুন: এবার মনসা পুজোতেও থিমের রমরমা! চন্দ্রযান-৩ এর আদলে মণ্ডপ
পশ্চিমবঙ্গে তিন ধরণের পুতুল নাচ দেখা যায়। একটি তারের পুতুল বা সুতোর পুতুল। আরেকটি হল বেতের পুতুল, আর তৃতীয়টি হল এই ডাং পুতুল। যা একান্তভাবেই দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐতিহ্য। এই পুতুল নাচে ব্যবহার করা হয় বড় বড় পুতুল, যা এক একটি মানুষেরও সমান।
advertisement
আগে দুর্গাপুজোর সময় গ্রাম বাংলার পাড়ায় পাড়ায় বসত পুতুল নাচের আসর। গীতিআলেখ্যে ধর্মী পুতুল নাচের মাধ্যমে ফুটে উঠত সাধারণ মানুষের সুখ, দুঃখের গল্প কথা। এক সময় ডায়মন্ডহারবারে কাঠের তৈরি ডাং পুতুলের খ্যাতি ছিল রাজ্যজোড়া। কিন্তু সেইব দিন এখন অতীত। আগের মত আর জনপ্রিয়তা না থাকায় জেলাজুড়ে ধুঁকছেন পুতুল নাচের শিল্পীরা।
এমন পরিস্থিতিতে দুর্গাপুজোর আগে পুরনো ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখতে পুতুল নাচের শিল্পীদের নিয়ে ডায়মন্ডহারবারে বিশেষ কর্মশালার আয়োজন করেছিল লোকসংস্কৃতি ও আদিবাসী সংস্কৃতি কেন্দ্র।
মূলত শিল্পীদের দক্ষতা বাড়াতে তিন দিন ধরে এই প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা চলবে। জেলার মোট ৪৫ জন প্রান্তিক পুতুল নাচ শিল্পী অংশ নিয়েছেন এই কর্মশালায়৷ উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক পান্নালাল হালদার, এডিএম অচিন্ত ঘোষ, বিশিষ্ট শিল্পী সুবোধচন্দ্র হালদার, মহকুমা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক ব্রতী বিশ্বাস প্রমুখ।
নবাব মল্লিক