জেলাশাসক জানিয়েছেন, ২৪ এবং ২৫ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়তে পারে, এ জন্য ইতিমধ্যে আজ পযর্ন্ত প্রায় ১০,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ১৭০০ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে পর্যাপ্ত জল ও খাদ্যসামগ্রী মজুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ পোষ্য-বান্ধব জগদ্ধাত্রী পুজো, চন্দননগরের কোন পুজোমণ্ডপে নিয়ে যাবেন আপনার পোষ্যকে? জানুন
advertisement
আগামী দু'দিন সবধরনের ফেরি চলাচল বন্ধ থাকবে। তিনটি এনডিএম দল মোতায়েন থাকছে। ৫০০জন স্বেচ্ছাসেবক-সহ সিভিল ডিফেন্স, সেচ দফতরের সঙ্গে প্রশাসন সমন্বয় রেখে চলেছে। জেলাশাসক জানালেন, প্রায় ৪০,০০০ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হবে। গোসাবা, সাগর, নামখানা, কুলতলির মতো উপকুলবর্তী উপদ্রুত অঞ্চলে বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ শিবপুর ওলাবিবিতলার হাজার হাতের কালী, শিহরিত করা কালীপুজোর ইতিহাস
উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে যে সমস্ত মৎস্যজীবীরা মাছ ধরতে যায় তাদেরকে নিষেধাজ্ঞা জারি করে হয়েছে পাশাপাশি তাদেরকে ফিরিয়ে আনার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে। আগামী দু'দিন প্রশাসনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখা হবে। ঘন্টায় ৯২ কিলোমিটার বেগে ঘূর্ণিঝড় বইতে পারে বলে আবহওয়া দফতরথেকে জানান হয়েছে। ফলে জলোচ্ছাস মোকাবিলা করতে কাঁচা বাঁধ মেরামত করা হচ্ছে।
সেচ দফতরের সঙ্গে সমন্ময় রেখে কাজ চলছে। কালীপুজোর সমস্ত পুজা মণ্ডপকে প্রশাসনের তরফ থেকে আগাম ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সমস্ত পুজো উদ্যোক্তাদের মণ্ডপগুলি শক্তভাবে নির্মাণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আজ কালীপুজোর পর আগামীকাল ২৫ অক্টোবর বেশিরভাগ প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ঘাটগুলোতে বিশেষ সতর্কতা ও নজরদারি থাকবে বলে জেলাশাসক জানালেন।
সুমন সাহা