প্রশাসন সূত্রের খবর, সুন্দরবনের উপরে আয়লা-আমফানের স্মৃতি এখনও দগদগে৷ কিন্তু, অনেকসময় ঝড়ের অভিমুখ বাংলার দিকে না থাকলেও, ঝড়ের প্রভাবে নদী ও সমুদ্র উত্তাল হয়। সেক্ষেত্রে, সমস্যায় পড়েন মৎস্যজীবীরা। সেই কারণে, মোকা-র অভিমুখ পশ্চিমবঙ্গের দিকে না থাকা সত্ত্বেও মৎস্যজীবীদের সমুদ্রযাত্রার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। দেওয়া হয়েছে লাল সতর্ক বার্তা।
advertisement
আরও পড়ুন:তিল তিল করে শক্তি বাড়াচ্ছে মোকা! চলতি সপ্তাহের শেষেই উথালপাতাল সমুদ্র, তুমুল ঝড়বৃষ্টি
ঝড়ের প্রভাবে উপকূলবর্তী এলাকায় নদী ও সমুদ্রের জলের স্তর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সেক্ষেত্রে, বাঁধ ভাঙার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে বলে মনে করছে প্রশাসন। তারা জানাচ্ছে, ঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলার কাকদ্বীপ মহাকুমায় পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই মহকুমার পাথরপ্রতিমা, সাগর, নামখানা ও কাকদ্বীপ ব্লকের উপরে মোকার প্রভাব পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই মোকার মোকাবিলায় খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম৷ কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে কাকদ্বীপের মহাকুমা শাসকের দফতরে। সেখান থেকে পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এ নিয়ে কাকদ্বীপের মহাকুমা শাসক অরণ্য বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘‘মহাকুমায় ঝড় মোকাবিলায় ৬৪টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার, ১২টি ফ্লাড শেল্টার, অস্থায়ী ১৫৪টি জায়গা প্রস্তুত করা হয়েছে।’’
কাকদ্বীপ ছাড়াও জেলার অন্যান্য অংশে প্রস্তুতি সেরে রাখা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। ইতিমধ্যে নদীবাঁধগুলি শক্তিশালী করার কাজ চলছে। সেই কাজ খতিয়ে দেখছেন প্রাশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। এছাড়াও মৎস্যজীবীদের সুমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে চলছে মাইকে প্রচার।
পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বিভিন্ন বাঁধ পরিদর্শন করছেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। সেচ দফতরের আধিকারিকরাও বিভিন্ন বাঁধের অবস্থা পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছেন। আপতত, ঝড় না আসলেও, ঝড়ের পরোক্ষ প্রভাব এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
নবাব মল্লিক






