মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগর মেলা উদ্বোধন করার পর থেকেই ঢল নেমেছে দেশ-বিদেশের পুণ্যর্থীদের। কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দেবেন বলে এবারের গঙ্গাসাগর মেলায় নেপাল থেকে এসেছে ৩৬ জনের একটি দল। পুণ্যার্থীদের ওই দলেরই সদস্য রূপা রায় ( ৫৫)। শুক্রবার তিনি হঠাৎই মেলা প্রাঙ্গণে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গঙ্গাসাগর মেলায় হাজির চিকিৎসকরাই প্রথমে ওই বিদেশী তীর্থযাত্রীর শারীরিক পরীক্ষা করেন। তাঁরা জানান, গঙ্গাসাগর মেলার অস্থায়ী হাসপাতালে হবে না, উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত তাঁকে কলকাতার বড় হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। সঙ্গে সঙ্গেই প্রশাসনের তরফে থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে রুপা রায় নামে নেপালের ঐ তীর্থযাত্রীকে কলকাতায় উড়িয়ে নিয়ে আসা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন: 'দুয়ারে রেশন' দেয় না ডিলার, থানায় অভিযোগ গ্রাহকদের
তেমন জরুরি প্রয়োজন পড়লে যাতে তীর্থযাত্রীদের দ্রুত কলকাতায় নিয়ে আসা যায় তার জন্য গঙ্গাসাগর মেলায় এয়ার অ্যাম্বুলেন্স রাখা থাকছে। এবার মেলাকে কেন্দ্র করে গঙ্গাসাগরে ৬ টি অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি করা হয়েছে। পাশাপাশি কাকদ্বীপ সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ও ডায়মন্ডহারবার জেলা হাসপাতালকেও যেকোনও জরুরি প্রয়োজনে তৈরি থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ওই দুই হাসপাতালের সুপার ও মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা গঙ্গাসাগর মেলায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দল নিয়ে উপস্থিত আছেন। এবার গঙ্গাসাগর মেলায় ১০০ এরও বেশি অ্যাম্বল্যান্সের বন্দোবস্ত রেখেছে প্রশাসন। গঙ্গাসাগরে তিনটি অস্থায়ী হেলিপ্যাড তৈরি করা হয়েছে। যাতে কোনও পুণ্যার্থী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কলকাতায় উড়িঊ নিয়ে আসা যায়। এই প্রশাসনিক বন্দোবস্তেরই সুফল পেলেন নেপাল থেকে আসা রূপা রায়।
সুমন সাহা