আরও পড়ুন: আর্সেনিকমুক্ত ২০ লিটার পানীয় জল বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৭ টাকায়!
গ্রামবাসীদের অভিযোগ নদী বাঁধের কাছ থেকে মাটি কাটছে ইটভাটার মালিকরা। প্রশাসনকেও জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় একসময় বাধ্য হয়ে এলাকার গ্রামের মহিলারা ড্রেজার আটকে দিয়ে মাটি কাটার কাজ বন্ধও করে দিয়েছিলেন। কিন্তু তারপরও হেলদোল নেই কারোর। কাকদ্বীপ ব্লকের রামকৃষ্ণ গ্রাম পঞ্চায়েতের ইট ভাটার মালিকেরা এই কাজের সঙ্গে জড়িত বলে গ্রামবাসীদের দাবি। তাঁদের আরও অভিযোগ, বন দফতরের বসানো নদীর পাড়ের গাছগুলোও লুকিয়ে চুরিয়ে কেটে ফেলা হচ্ছে।
advertisement
এই ঘটনার কোনও প্রতিকার না হওয়ায় নিজেদের তাগিদে এলাকার মহিলারা একজোট হয়ে বন্ধ করে দেন ড্রেজার দিয়ে মাটি কাটার কাজ। সাগর, পাথরপ্রতিমা, কাকদ্বীপ, নামখানা, রায়দিঘি সহ সুন্দরবনের বিভিন্ন প্রান্তে যখন নদী বাঁধ ভেঙে এলাকা প্লাবিত হচ্ছে সেই সময় এই খবর এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, এইভাবে যদি মাটি কাটতে থাকে আগামী দিন বর্ষায় এই সমস্ত বাঁধ ভেঙে এলাকা এলাকার পর এলাকা প্লাবিত হবে। আগে নৌকা করে নদীর পলি অল্প অল্প তুলতো ইট ভাটার মালিকেরা, কিন্তু এখন তারা আরও বেপরোয়া হয়ে ড্রেজার দিয়ে নদীর পাড়ের কাছের মাটি কেটে সর্বনাশ করছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার দ্রুত প্রতিকার চেয়েছেন গ্রামবাসীরা।
নবাব মল্লিক