মঙ্গলবার থেকে আরও উত্তপ্ত ভাঙড়। রাতে পরিস্থিতি ভয়াবহ অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। চারিদিকে বোমা গুলির শব্দ ভীত সন্ত্রস্ত এলাকাবাসীরা। এমনকী এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন সংবাদ মাধ্যমের কর্মীও আটকে পড়েন ওই এলাকায়। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীরা সাহায্যের জন্য বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপারকে ফোন করে সকলকে নিরাপদে ওই এলাকা থেকে উদ্ধারের জন্য কাতর মিনতি জানান হয়। এই পরিস্থতিতেই গুলিবিদ্ধ হন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাকসুদ হাসান।
advertisement
এই ঘটনায় তৃণমূল ও আইএসএফের বেশ কয়েক গুরুতর আঘাত পেয়েছে বলে জানা গিয়েছে। অন্ধকার থাকার কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়তে হয়েছে পুলিশ বাহিনীকেও। গোটা এলাকায় দুষ্কৃতীরা বিদ্যুৎহীন করে দিয়েছে ।
আরও পড়ুন: অশান্ত ভাঙড়! মধ্যরাতে গুলি, বোমার শব্দে কান পাতা দায়, কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার আশঙ্কা!
আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রের হত্যা-লীলা! ভোট লুট! চুরি করে হারানো হচ্ছে!’ ভয়াবহ অভিযোগ CPIM নেতার!
এলাকার গ্রামবাসীরা আতঙ্কে ঘরবন্দী। গোটা এলাকায় তাজা বোমা ও বন্দুক নিয়ে দাপাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। গণনার পর ভাঙড় যেন দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। রাতেই এলাকার পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশাল পুলিশ বাহিনী ইতিমধ্যেই বিভিন্ন থানা থেকে রওনা দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিছু কিছু জায়গা থেকে এই সংঘর্ষের ফলে মৃত্যুর খবরও উঠে আসছে। দুষ্কৃতীরা তান্ডব লীলা চালাচ্ছে গোটা এলাকায়।