ঘটনার সূত্রপাত হয় আবাস প্লাস যোজনার তালিকা প্রকাশ হওয়ার পর। সেখানে দেখা যায় গ্রামের অনেকের নাম তপশিলি উপজাতিভুক্ত (এসটি) হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই তালিকায় নাম আছে গ্রামের নন্দলাল মণ্ডল, মনোরঞ্জন মাঝি, সুরজিৎ মণ্ডল, স্বপন কুমার মণ্ডল, জগন্নাথ দাস ও প্রদীপ কুমার মণ্ডলের। উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত না হওয়া সত্ত্বেও এদেরকে এসটি দেখিয়ে অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ঘরের তালিকায় নাম তোলা হয়। জানা গিয়েছে ওই এলাকায় কোনও এসটি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন না।
advertisement
আরও পড়ুন: ক্যানিং হাসপাতালে রোগীর খাবার খেয়ে নিচ্ছে কুকুর-বিড়াল!
এসটি তালিকা নিয়ে কারচুপির অভিযোগই শুধু নয়, শ্রীধরনগর পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। আবাস যোজনার তালিকায় নাম আছে প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান প্রদীপ কুমার মণ্ডলের, যিনি ব্যক্তিগত দোতলা বাড়িতে বসবাস করেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে বর্তমান পঞ্চায়েত প্রধান প্রদ্যুৎ বর্মণের দিকে।
শ্রীধরনগর পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জয়দেব বারুই আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছেন পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে তিনি জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগপত্রে ওই পঞ্চায়েতের বেশ কিছু সদস্য ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সই করেছেন।
এদিকে তাঁর বিরুদ্ধে উঠে যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে সরকারি কর্তাদের দিকে যাবতীয় ঘটনার দায় ঠেলেছেন পঞ্চায়েত প্রধান প্রদ্যুত বর্মণ। আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে এই বিতর্কে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়।
নবাব মল্লিক