ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদের অভিযোগ, ফ্রেজারগঞ্জের খাসঘেরি এলাকায় মোটা মুনাফার লোভে ভেনামি চিংড়ি চাষের রমরমা কারবার শুরু হয়েছে। চিংড়ি চাষের জন্য মাঝেমধ্যেই ভেড়ির জল পাল্টাতে হয়। আর সেই কারণে ভেড়ির নোনা জল চাষের জমিতে ফেলা হয়েছে। ফলে চাষযোগ্য জমি নোনা জলে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেই জল বেরিয়ে যাওয়ার পর জমিতে লবণ পড়ে মাটির উর্বর শক্তি পুরো নষ্ট করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হতে দেখ ভেড়ির মালিক রাতের অন্ধকারে চাষের জমিতে ইলেকট্রিক পাম্প বসিয়ে জল বের করার মত কাজ করছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: একই গ্রামে ১৫ টি থিমের সরস্বতী পুজো! মুর্শিদাবাদের এই গ্রাম বাগদেবীর আরাধনার জন্য বিখ্যাত
ঘটনা হল, কিছুদিন আগেই ভেনামি চিংড়ি চাষের লাভজনক দিক তুলে ধরে চাষিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই অনেকে অধিক মুনাফা লাভের জন্য ফসল ফলানোর জমিতে ভেনামি চিংড়ি চাষ শুরু করেন। এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে এই খাসঘেরি এলাকায় জল নিকাশি ব্যবস্থা মোটেও ভাল নয়। সেই কারণেই ভেড়ি মালিকরা চাষের জমিতে নোনা জল ছেড়ে দিয়েছেন বলে অনেকের ধারণা।
এই নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা চিংড়ি ভেড়ির মালিকদের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পেয়ে গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে এই ঘটনায় জমিতে চাষ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন কৃষকরা। পরিবারের মুখে কীভাবে খাবার তুলে দেবেন সেটাই বুঝতে পারছেন না। জানা গিয়েছে এই ঘটনার জেরে প্রায় ১৫০ বিঘা কৃষিজমি রাতারাতি ফসল ফলানোর অনুপযুক্ত হয়ে পড়েছে।
নবাব মল্লিক