আরও পড়ুন: বিষহরি পালাগান শুনতে মদনমোহন মন্দিরে ছুটে আসছে সবাই! কী পুজো হচ্ছে জানেন?
উল্লেখ্য, বারুইপুরের পদ্মপুকুর থেকে শাসন যাওয়ার বাইপাসের পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে আদি গঙ্গা। পদ্মপুকুর থেকে বংশী বটতলা মোড় পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার গঙ্গার পাড় সাজানো হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা খরচ করে। পুরো আদি গঙ্গার পাড়ে বসানো হয়েছিল বাহারি গাছ, বসার জায়গা ও সাধারণ মানুষের হাঁটার জন্য টাইলস বসানো ফুটপাথ। সন্ধের পর আদি গঙ্গার পাড় ঝলমলে আলোয় সেজে উঠত। সৌন্দর্যায়নের পর থেকেই হাজার হাজার মানুষ বিকেলের পর এই এলাকায় ঘুরতে আসতেন। অনেকে আবার ভোর ভোর প্রাতঃভ্রমণের জন্য আসতেন এখানে।
advertisement
কিন্তু দীর্ঘদিন পার্কের পরিচর্যা না করায় তা বেহাল হয়ে পড়ে। প্রায় সমস্ত বাতিস্তম্ভ খারাপ হয়ে যায়। রেলিংগুলি আগাছায় ভরে গিয়েছিল। সাপের উপদ্রবে ভয়ে সন্ধের পরে মানুষজন আসাই বন্ধ করে দেয় পার্কে। এ বিষয়ে স্থানীয় কল্যাণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগাযোগ করার পাশাপাশি আমরা সেই খবর তুলে ধরি। এরপরই পঞ্চায়েত প্রধান উদ্যোগ নিয়ে আদি গঙ্গার পাড় তড়িঘড়ি পরিষ্কারের ব্যবস্থা করেন।
এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই গঙ্গার পাড় অযোগ্য হয়ে উঠেছিল। বিষয়টি আমাদের নজরের ছিল। কিন্তু কোনরকমভাবে সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছিল না। তারপর সেই খবর সংবাদ মাধ্যম তুলে ধরে এবং আমরা সঙ্গে সঙ্গে গঙ্গার পাড় আগে রূপে ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করি। আশা করছি কয়েক দিনের মধ্যে আদি গঙ্গার পাড়কে আগে রূপে ফিরিয়ে আনতে পারব।
সুমন সাহা