এ দিন জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর-সহ জঙ্গল ঘেরা একাধিক জেলার ডিএম-দের নিয়ে বৈঠক করেন বনকর্তারা। তারপরই বন দফতরের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব রাজীব কুমার একটি জরুরি বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। সেখানে বলা হয়েছে, পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে আসা ও বাড়ি ফিরে যাওয়া পর্যন্ত যাতে বন্যপ্রাণীর হামলায় শারীরিক কোনও ক্ষতি না হয়, তা স্থানীয় বনকর্মী ও বনবিভাগকে সুনিশ্চিত করতে হবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ইচ্ছা থাকলেও টিকিট মেলে না? ভিড় সামলাতে ২ মার্চ থেকে হোলি স্পেশ্যাল ট্রেন চালাবে রেল
উত্তরবঙ্গের অতিরিক্ত প্রধান মুখ্য বনপাল উজ্জ্বল ঘোষ বলেন, ‘সবসময়ই আমাদের নজরদারি থাকে। নজরদারি আরও বাড়ানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পরীক্ষার কয়েকদিন আরও বেশি বনকর্মীদের এলাকায় রাখা হবে। মানুষকে সচেতন করতে মাইকিংও করা হবে।'
সংশ্লিষ্ট সিডব্লিউএলডব্লিউ,ডিএফও এবং পিসিসিএফদের পুরো ব্যবস্থার উপর নজর রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি জঙ্গলের প্রবেশ পথগুলিতে ড্রপগেট তৈরি, ড্রপগেট থাকলে মেরামতি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ সব সিদ্ধান্তের কথা যখন জানতে পারলেন, তখন ছেলের মৃত্যুতে চোখ দিয়ে অঝোরে জল ঝরেই চলেছে বিষ্ণু দাসের।
আরও পড়ুনঃ হুড়মুড়িয়ে চড়ছে পারদ, জেলায় জেলায় কাঁপিয়ে বৃষ্টি, জানুন আবহাওয়ার পূর্বাভাস
কাঁদতে কাঁদতেই বলেন, “আর যাতে কোনও ছাত্রের প্রাণ না যায় সেটা প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। টহলদারি আরও বাড়ানো দরকার।' মহারাজা ঘাট, টাকিমারি এলাকা হাতি উপদ্রুত বলেই পরিচিত। অর্জুনদের বাড়িতেও এর আগে একাধিকবার হাতি এসেছে। প্রাণেও মেরেছে এলাকার বেশ কয়েকজনকে। এ দিনের ঘটনা নিয়ে গত এক মাসে এই এলাকায় মোট তিনজনের মৃত্যু হল। ফলে বন দফতর যে সেখানে কার্যত ঠুটো জগন্নাথের ভূমিকায়, তা নিয়ে ক্ষোভের সুর শোনা গিয়েছে এলাকাবাসীর গলায়।
পড়শিদের একজন বললেন, “হাতি প্রায়ই এলাকায় ঢোকে। কিন্তু বন দফতরের কোনও নজরদারি নেই। বন দফতরের উচিত ছিল, আগে থেকেই ওই এলাকায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা রাখা।' এ দিন বন দফতরের পদস্থ কর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছাতেই গ্রামবাসীরা তাঁদের অভাব অভিযোগ শোনাতে থাকেন।
অনির্বাণ রায়