শিলিগুড়ি মহাকুমার নকশালবাড়ি, বাগডোগরা-সহ মাটিগাড়া ও শিলিগুড়ির বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এদিন প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেন। বিনিময় প্রথায় বহু সমস্যা কাটাতে শুরু হয়েছিল মুদ্রার। ধাতব এই বস্তুটি পরবর্তীতে হয়ে ওঠে আর্থিক লেনদেনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। তাই ইতিহাসের অন্যতম দলিল হিসাবে ধরা হয় মুদ্রাকে। মুদ্রার মধ্যে দিয়ে ইতিহাসকে খোঁজেন উৎসাহীরা, গবেষকরা।
আরও পড়ুন: গরিবের টাকা খেয়েছে নেতারা! মালদহে যা ঘটল দুর্নীতির প্রতিবাদে, অবিশ্বাস্য বললেও কম হবে
advertisement
ইতিহাস সংরক্ষণের পাশাপাশি এই মুদ্রার মাধ্যমে ইতিহাসের হারিয়ে যাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে উঠে আসে। মুদ্রা সংগ্রহ নিয়ে সাধারণের মধ্যে আরও সচেতনতা বাড়াতে এই মুদ্রা প্রদর্শনী। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা ইতিহাসের পাতায় যে মুদ্রার কথা পড়েছেন সেগুলিকে সামনাসামনি চাক্ষুষ করতে ভিড় হয় বিশ্ববিদ্যালয়ে। আড়াই হাজার বছর আগে থেকে সাম্প্রতিক সময়ে তৈরি ভারতের মুদ্রা প্রদর্শিত হচ্ছে এই উত্সবে৷গুপ্ত ও কুষাণ যুগের যে সব স্বর্ণমুদ্রা ইতিহাস বইয়ের পাতায় দেখেই সকলে অভ্যস্থ, সেই সব মুদ্রা এ বার চাক্ষুষ করে স্বভাবতই খুশি শিলিগুড়ির বাসিন্দারা৷
আরও পড়ুন: প্রেম করে বিয়ের পর স্ত্রীকেই 'খুন'! স্বামীর এমন কাজের কারণ শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন
মিউজিয়ামের তত্ত্বাবধায়ক মলয় কুমার সাহা জানান, বিশেষত ছাত্রছাত্রীরা যে সমস্ত বিষয় এতদিন বইয়ে পড়ে আসছে বা দেখে আসছে সেগুলি দেখার অভিজ্ঞতা হবে এবং মিউজিয়াম মানেই শিক্ষণীয় বিষয় এখান থেকে অনেক শিখেও যেতে পারবে তারা। এই বিষয়ে মুদ্রা বিশেষজ্ঞ শিবাজী ব্যানার্জী জানান, শিক্ষার্থীদের কাছে থেকে বিভিন্ন প্রশ্ন উঠে আসছে। তাদের তথ্য তুলে ধরতে পেরে খুশি। বিভিন্ন মুদ্রা দেখতে পেয়ে খুশি শিক্ষার্থীরা। সঞ্চিতা মহন্ত বলে একজন রিসার্চ স্কলার জানান, যে এটা খুবই শিক্ষনীয় একটি বিষয় এবং আজকের এই প্রদর্শনীতে মগধ সাম্রাজ্যের একটি বিশেষ কয়েন প্রদর্শনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।
অনির্বাণ রায়