এই উৎসবের সময় পর্যাপ্ত ফুলের জোগান না থাকলে সমস্যায় পড়তে হবে বলে মনে করছেন প্রদীপ নাগ, বিষ্ণু বিশ্বাস প্রমুখ ফুল ব্যবসায়ী। তাঁদের কথায়, গাঁদার কোনও বিকল্প না থাকায় তা মজুত করে রাখা এবং ঘাটতি পড়লে অন্যান্য ফুল বিক্রির মাধ্যমে সমস্যার হাল খোঁজার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
আরও পড়ুন - BEL Recruitment 2022: ভারত ইলেকট্রনিক্স লিমিটেডে ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগ, বেতন হতে পারে ৫৫ হাজার অবধি
advertisement
দীপাবলির সময় সবচেয়ে বেশি চাহিদা থাকে গাঁদা ফুলের। শুধু বাঙালিই নয়, অবাঙালি যেমন নেপালিদের মধ্যে গাঁদার মালা নিয়ে ভাইটিকা নেওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। ছটপুজোতেও পুজো সহ ঘাট সাজানোর কাজে গাঁদা ফুলই বেশি ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর কলকাতা,রায়গঞ্জ, রানাঘাট থেকে কমলা, হলুদ রংয়ের গাঁদা ফুল ঢোকে শহরে। ইতিমধ্যে সেই গাঁদা ঢুকতে শুরু করলেও গতবছরগুলির তুলনায় জোগান কম বলে জানালেন ফুল ব্যবসায়ীরা। কুড়ি পিসের দাম ৩০০ টাকা খুচরো বাজারগুলিতে। গাঁদার পাশাপাশি পাল্লা দিয়ে চাহিদায় রয়েছে গোলাপ, রজনীগন্ধা থেকে শুরু করে চন্দ্রমল্লিকা।
আরও পড়ুন - Earthquake News: নেপালে ভূমিকম্পের উৎসস্থল, কেঁপে গেল পটনা
ফুল ব্যবসায়ী বিষ্ণু বিশ্বাস বলছিলেন, ‘এই সময় মূলত মারওয়ারি নেপালি সম্প্রদায়ের লোকেরা বেশির ভাগ গাঁদা ফুল নিয়ে যায় আমাদের কাছ থেকে। এমনিতে ৩০০ টাকা দাম থাকে কিন্তু এবার যা মার্কেটের পরিস্থিতি তাতে দাম আগের তুলনায় কিছুটা বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছি।' প্রদীপ নাগের কথায়, ‘এবার গাঁদা ফুলের জোগান একটু কম। গতবছর বেশি মাল তুলিনি ব্যবসা তেমন ছিল না বলে। এবার তুলতে চাইছি তবে পরিস্থিতি সঙ্গ দিচ্ছে না। তবে অন্যান্য ফুল মজুত রাখছি।' গণেশপুজো থেকে দুর্গাপুজো পর্যন্ত বৃষ্টি বাদ না সাধলে ব্যবসা আরও ভালো হত বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
অনির্বাণ রায়