জানা গিয়েছে শুভম মিত্র নামে এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল যুবতীর। বাড়িতে সেকথা জানিয়েছিল। কিন্তু পরিবার সেই সম্পর্ক মেনে না নেওয়ায় পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করেছিলেন যুবতী। শুক্রবার সকালে প্রিয়াঙ্কার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় সুকান্তপল্লির বাড়ি থেকে। আর দেহ উদ্ধার হতেই পরিবারের সদস্যরা জানান বিয়ের পর থেকে মেয়ের উপর অত্যাচার করা হতো।
advertisement
মৃত প্রিয়াঙ্কা মিত্রের বাবা ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর প্রকাশ চন্দ্র দাস। তিনি জানান, মেয়ে পর্যটন দফতরে কর্মরত ছিল। বিয়ের পর থেকেই প্রিয়াঙ্কার স্বামী শুভম মিত্র ও তাঁর পরিবার নানান ভাবে অত্যাচার চালাতো মেয়ের উপর। শুক্রবার সকালে প্রিয়াঙ্কার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার সহ্য না করতে পেরেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। এমনটাই লিখেছে প্রিয়াঙ্কা। এদিন ঘটনার পর প্রিয়াঙ্কার স্বামী শুভম মিত্রকে আটক করেছে এনজেপি থানার পুলিশ। তবে পুরো ঘটনাটি তন্দন্ত না করে এখনি কিছু বলতে চাইছে না পুলিশ।
আরও পড়ুন: Bankura News | Viral: নাগরদোলায় দাঁড়িয়ে সেলফি! যুবতীর চুল আটকে গেল পিলারে! তারপর? জানলে শিউরে উঠবেন
স্থানীয় সূত্রের খবর অনুযায়ী, প্রেম করে বিয়ে করেছিল ওরা দুজন। ভালোভাবেই সকলের সঙ্গে মেলামেশা করত। তবে বাড়ির ভেতরের গল্প তারা কেউই কিছু জানেন না। কি কারণে মেয়েটি এমন কাণ্ড ঘটালো মেয়েটি শুনেই হতবাক এলাকার স্থানীয়রা ।
অনির্বাণ রায়