পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে এই মূর্তিগুলি তৈরি করছিল সে। বাবা কাজে যাওয়ার কারণে সেই ভাবে সহযোগিতা না মিললেও মাটি আনা থেকে অন্যান্য জিনিসের যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে বাবার ভূমিকা ও রয়েছে বলে সে জানিয়েছে। সঞ্জিত বলেন, গত তিন বছর ধরে মূর্তি তৈরি করছে সঞ্জিত। তার মূর্তি তৈরি করার পর থেকেই তাদের বাড়িতে ওই মূর্তির পূজো করা হচ্ছে। আর এই পুজোর জন্য স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাড়িও দুর্গা পূজোর আনন্দে মেতে উঠছে। শুধু দুর্গাপুজোই নয় সঞ্জিতের আনন্দ ফুর্তি খেলাধুলা বলতে মূর্তি বানানো।
advertisement
আরও পড়ুন:বোটিং করতে আর যেতে হবে না মিরিক! শিলিগুড়িতেই নিতে পারবেন বোটিংয়ের মজা
তার এই মূর্তি বানানোর কাজ শুরু হতেই প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে উঁকি মারছে প্রতিবেশীরা। সঞ্জিতের ইচ্ছে আগামী দিনে আরো বড় মূর্তি তৈরি করা। তার বাবা বীরেন বর্মন বলেন,”আমি মাটিগাড়া এলাকা থেকে কাদামাটি এবং অন্যান্য উপকরণ কিনেছি। তবে সঞ্জিত নিজেই সবকিছু তৈরি করে। মাঝে মাঝে আমি তাকে কিছু জিনিস দিয়ে সাহায্য করি যা সে পারে না। আমরা তাকে এই কাজে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।”তার প্রতিবেশী যুথিকা রায় বলেন,”তার বয়সের অন্য ছেলেরা খেলায় ব্যস্ত থাকে, যেখানে সে প্রতিনিয়ত এসব প্রতিমা তৈরি করে চলেছে। তার পরিবারে এবং আমাদের এলাকায় এমন প্রতিমা বানায় এমন কেউ নেই, আমি জানি না সে কীভাবে। এটা শিখেছি। কিন্তু আমরা খুশি যে সঞ্জিত এত সুন্দর মূর্তি তৈরি করে।”
অনির্বাণ রায়