TRENDING:

Durga Idol: তাজ্জব ব্যাপার! মোবাইলে দেখেই আস্ত দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে ফেলল শিলিগুরির এক রত্তি

Last Updated:

একেবারে কুমোরটুলিতে যেভাবে মূর্তি তৈরি করে ঠিক অবিকল সেভাবেই মূর্তি তৈরি করেছে সে। মা দুর্গার পাশাপাশি কার্তিক,গণেশ,লক্ষী ও সরস্বতী, সকলেরই মূর্তি তৈরি করেছে সঞ্জিত।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
শিলিগুড়ি: হাতে কলমে কোনদিনও মূর্তি বানানো শেখা হয়নি, তাতে কি হয়েছে মোবাইল তো রয়েছে। আর সেই মোবাইলে দেখেই রীতিমত দুর্গা ঠাকুরের মূর্তি তৈরি করে ফেলল সঞ্জিত। ১৩ বছর বয়সে সাধারণত কিশোর কিশোরীরা খেলাধুলো ও আনন্দে মত্ত থাকে। তবে এই বয়সে প্রায় সাড়ে চার ফুট মাটির দুর্গা ঠাকুর বানিয়ে তাক লাগাল শিলিগুড়ির জলডুমুর এলাকার বাসিন্দা সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সঞ্জিত বর্মন। দুর্গার পাশাপাশি রাত দিন পরিশ্রম করে সে বানিয়ে ফেলেছে মা দুর্গার সন্তানদেরও মূর্তি।একেবারে কুমারটুলিতে যেভাবে মূর্তি তৈরি করে ঠিক অবিকল সেভাবেই মূর্তি তৈরি করেছে সে। মা দুর্গার পাশাপাশি কার্তিক,গণেশ, লক্ষী ও সরস্বতী, সকলেরই মূর্তি তৈরি করেছে সঞ্জিত। জানা গিয়েছে সঞ্জিতের বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি। মা দিনমজুরের কাজ করেন। সঞ্জিত বর্মন শিলিগুড়ির নেতাজি বয়েজ স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।
advertisement

পড়াশোনার ফাঁকে ফাঁকে গত প্রায় ১৫ দিন ধরে এই মূর্তিগুলি তৈরি করছিল সে। বাবা কাজে যাওয়ার কারণে সেই ভাবে সহযোগিতা না মিললেও মাটি আনা থেকে অন্যান্য জিনিসের যোগান দেওয়ার ক্ষেত্রে বাবার ভূমিকা ও রয়েছে বলে সে জানিয়েছে। সঞ্জিত বলেন, গত তিন বছর ধরে মূর্তি তৈরি করছে সঞ্জিত। তার মূর্তি তৈরি করার পর থেকেই তাদের বাড়িতে ওই মূর্তির পূজো করা হচ্ছে। আর এই পুজোর জন্য স্থানীয় বেশ কয়েকটি বাড়িও দুর্গা পূজোর আনন্দে মেতে উঠছে। শুধু দুর্গাপুজোই নয় সঞ্জিতের আনন্দ ফুর্তি খেলাধুলা বলতে মূর্তি বানানো।

advertisement

আরও পড়ুন:বোটিং করতে আর যেতে হবে না মিরিক! শিলিগুড়িতেই নিতে পারবেন বোটিংয়ের মজা

তার এই মূর্তি বানানোর কাজ শুরু হতেই প্রতিদিনই তাদের বাড়িতে উঁকি মারছে প্রতিবেশীরা। সঞ্জিতের ইচ্ছে আগামী দিনে আরো বড় মূর্তি তৈরি করা। তার বাবা বীরেন বর্মন বলেন,”আমি মাটিগাড়া এলাকা থেকে কাদামাটি এবং অন্যান্য উপকরণ কিনেছি। তবে সঞ্জিত নিজেই সবকিছু তৈরি করে। মাঝে মাঝে আমি তাকে কিছু জিনিস দিয়ে সাহায্য করি যা সে পারে না। আমরা তাকে এই কাজে সম্পূর্ণ সমর্থন করি।”তার প্রতিবেশী যুথিকা রায় বলেন,”তার বয়সের অন্য ছেলেরা খেলায় ব্যস্ত থাকে, যেখানে সে প্রতিনিয়ত এসব প্রতিমা তৈরি করে চলেছে। তার পরিবারে এবং আমাদের এলাকায় এমন প্রতিমা বানায় এমন কেউ নেই, আমি জানি না সে কীভাবে। এটা শিখেছি। কিন্তু আমরা খুশি যে সঞ্জিত এত সুন্দর মূর্তি তৈরি করে।”

advertisement

View More

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
২ বছর ধরে নিখোঁজ ছেলে! সোশ্যাল মিডিয়ার 'জাদু'তে খুঁজে পেল পরিবার
আরও দেখুন

অনির্বাণ রায়

বাংলা খবর/ খবর/শিলিগুড়ি/
Durga Idol: তাজ্জব ব্যাপার! মোবাইলে দেখেই আস্ত দুর্গা প্রতিমা বানিয়ে ফেলল শিলিগুরির এক রত্তি
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল