প্রসঙ্গত, কলকাতায় থাকাকালীন জাহাজ দেখতে দেখেতে জাহাজের মতো বাড়িতে থাকার ইচ্ছে হয়। সেই থেকেই এই জাহাজ বাড়ি বানানোর পরিকল্পনা নেন। তবে প্রথমে তার ভাবনায় সায় দেননি কোনও ইঞ্জিনিয়ার। জাহাজের মতো বাড়ি আবার হতে পারে নাকি! তার পর নিজের হাতেই ছবি এঁকে বাড়ি তৈরিতে হাত দেন। তবে টাকার অভাবে কাজ মাঝে মাঝেই আটকে যায়। মিস্ত্রিদের টাকা যোগান দেওয়ার ক্ষমতাও ছিল না তাঁর। তার পর নিজেই তিন বছর নেপালে গিয়ে রাজমিস্ত্রির কাজ শিখে বাড়ির তৈরির কাজে হাত দেন। ধীরে ধীরে তৈরি হচ্ছে তার স্বপ্নের জাহাজ বাড়ি।
advertisement
আরও পড়ুন : ১৮৪ বছরের প্রাচীন এই মন্দির তৈরি হয়েছিল নদীপথে বয়ে আনা পাথর দিয়ে
মিন্টু বাবুর কথায়, ২০১০ সালে কাজ শুরু হয় এই জাহাজ বাড়ি বানানোর। জাহাজ বাড়িটি ৩৯ ফুট লম্বা ও ১৩ ফুট চওড়া । প্রায় ৩০ ফুট উচ্চতার এই জাহাজ বাড়ি ফাঁসিদেওয়ার নিজবাড়ি এলাকার মূল আকর্ষণ হয়ে দাড়িয়েছে। অবিকল জাহাজের মতোই বাড়ি বানিয়েছেন তিনি। ৯.৫ ডেসিমাল জমিতে জাহাজ বাড়ি বানিয়ে সকলকে অবাক করেছে মিন্টু বাবু। চাষ আবাদ করে সেই ফসল বাজারে বিক্রি করে সেই টাকা জমিয়ে আজও বাড়ি বানানোর কাজ করে চলেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : প্রখর রোদে পুড়ছে জঙ্গলমহল, শুনশান পথে লু প্রবাহের আশঙ্কা
মন্টু বাবু জানিয়েছেন,নিজের মায়ের নামেই তিনি এই বাড়ির নাম দেবেন বলে ঠিক করেছেন। এখনও পর্যন্ত আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। তিনি আরও বলেন " আমি আগামী বছরের মধ্যে কাজ শেষ করার চেষ্টায় আছি। আমার ইচ্ছে আছে উপর তলায় পরবর্তীতে রেস্তরাঁ বানাব। সেখান থেকে একটা উপার্জনের চিন্তাভাবনা রয়েছে।"