শ্রেয়সীকে তাঁর উল্লেখযোগ্য গবেষণা পত্রের জন্য বিশ্বের অন্যতম বড় বিজ্ঞানীদের সংগঠন 'ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ' বা সার্ন-এর তরফে এলিস থিসিস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে । আর এই খবরে এখন খুশির জোয়ার আচার্য পরিবারে ।বিগ ব্যাং থিয়োরি বা ঈশ্বর কণার সঙ্গে নাম জুড়েছিল সত্যেন্দ্রনাথ বসুর । এবার সেই ঈশ্বর কণার সঙ্গে জুড়েছে শ্রেয়সীর নাম । মূলত, প্রোটন কণার সংঘর্ষের পর বিগ ব্যাংয়ের পর মূহূর্তে উৎপত্তি হওয়া কণার উপর লেখা হয় ওই থিসিস । গত বছরের শেষে বিগ ব্যাংয়ের উপর থিসিস বা নিজের গবেষণাপত্র লেখেন শ্রেয়সী । আর তাতেই বাজিমাত করে তিনি । শ্রেয়সী ভারত সার্নয়ের অ্যাসোসিয়েট সদস্য । সেই সুবাদেই সার্নে গবেষণা করার সুযোগ পান তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: 'আমি জানতাম দিদি আমার পাশে দাঁড়াবে', মমতার মন্তব্যে যেন প্রাণ ফিরে পেলেন 'কেষ্ট'
শিলিগুড়িতেই বিজ্ঞান নিয়ে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন শ্রেয়সী । এরপর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা নিয়ে পড়াশোনা তাঁর । সেখান থেকেই ভাবা অ্যাটমিক রিসার্চ সেন্টারে গবেষক হিসেবে যোগ দেন । ২০২১ সাল থেকে সার্নয়ে কাজ শুরু করেন তিনি । বর্তমানে ফ্রান্সে এলিস গবেষকদের সঙ্গে গবেষণার কাজ করছেন শ্রেয়সী । গত সপ্তাহেই সার্নে পালিত হয়ে এলিস সপ্তাহ ।
আরও পড়ুন: আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বেড়ে গেল অনুব্রতর! আইনজীবীর কাছে যা বললেন, অবিশ্বাস্য
আর সেখানেই শ্রেয়সীর গবেষণাপত্রকে শ্রেষ্ঠ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয় ।প্রসঙ্গে শ্রেয়সী আচার্য বলেন, "আমি সত্যিই ভাবতে পারিনি এত বড় স্বীকৃতি পাব । আমার বাবা মা তো অবশ্যই, সঙ্গে আমার প্রত্যেক অধ্যাপক ও শুভানুধ্যায়ীদের এর পিছনে অবদান রয়েছে ।" কৃতী এই গবেষকের বাবা পরিমল আচার্য বলেন, "শ্রেয়সীর জন্য আমরা খুব গর্বিত । খবরটা প্রথম শোনার পর আমি কিছুক্ষণ খুশিতে ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম।"
---অনির্বাণ রায়





