পার্বত্য এলাকা হওয়ায় মেঘালয়ে জলস্তর এমনিতেই বেশ অনেকটা নিচে অবস্থান করে। আর তাই মেঘালয় সরকারের পক্ষ থেকে বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে সেখানকার বেশ কিছু কৃষককে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিলিগুড়ি ক্যাম্পাসে এনে হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে চাষের প্রশিক্ষণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। তিনদিনের কর্মশালায় থিওরি ক্লাসের পাশাপাশি হাতে-কলমে মেঘালয়ের কৃষকদের হাইড্রোফনিক চাষ পদ্ধতি শেখাবেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।
advertisement
আরও পড়ুন: দলীয় কর্মসূচি নিয়ে এবার আলিপুরদুয়ারে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কিন্তু এই হাইড্রোফনিক চাষ'টা কী?
হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে চাষ আবার দুই ধরনের। সঞ্চালন ও সঞ্চালনবিহীন। এই পদ্ধতি ভেদের কারণে হাইড্রোফনিক চাষের ধরণ অনেকটাই বদলে যায়। এই পদ্ধতিতে চাষের জন্য নিরাপদ একটি ঘর দরকার। যেটি আবদ্ধ থাকবে কিন্তু পর্যাপ্ত আলোও খেলে বেড়াবে। গ্রিন হাউস বা গ্লাস হাউসে সারা বছর ধরে সব ধরনের ফসল চাষ করা যায়। এতে ফসলের মান মাঠে চাষ করা ফসলের চেয়ে অনেক ভালো হয়। অবশ্য এই পদ্ধতিতে চাষের পরিকাঠামো গড়ে তোলা কিছুটা খরচ সাপেক্ষ। এই জন্য হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে চাষের জনপ্রিয়তা বেশি। এর জন্য প্লাস্টিকের ছাউনি, ভিনাইল হাউস বা পলি টানেল থাকলেই চলবে।
এই চাষ পদ্ধতি প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোফাম ডিপার্টমেন্টের প্রশিক্ষক অমরেন্দ্র পান্ডে বলেন, এই পদ্ধতিতে চাষ অত্যন্ত লাভজনক। এই পদ্ধতিতে চাষ করে অনেকেই অর্থের মুখ দেখেছেন।মেঘালয়ের নোডাল অফিসার রাজা ব্রহ্ম জানান, শিলং থেকে মোট ১৩ জন কৃষক এসে হাইড্রোফনিক পদ্ধতিতে চাষের উপায় শিখছেন। তাঁদের থেকে মেঘালয়ের বাকি কৃষকরা প্রশিক্ষণ নেবেন।
অনির্বাণ রায়