শীতের দুপুরে এমনই দৃশ্য দেখা গেল শিলিগুড়ির অদূরে। বাগডোগরার ব্যাঙডুবি সেন্ট্রাল বস্তির কাছে প্রতিবছরই শীত পড়লে অনেকেই পিকনিক করতে আসেন। জায়গাটি জঙ্গল এলাকা। খাতায় কলমে ওখানে পিকনিক করায় বন দফতরের নিষেধাজ্ঞা আছে। কিন্তু মানুষজন শুনলে তো! তবে সেই নিষেধাজ্ঞা না মানার ফল এদিন হাতে-নাতে টের পেলেন সবাই। আর একটু হলেই হয়তো কোনও বড় বিপদ ঘটে যেত।
advertisement
আরও পড়ুন: বেপরোয়া বাইককে বাঁচাতে গিয়ে দুর্ঘটনার কবলে বন দফতরের গাড়ি
পশুপ্রেমীদের মতে, পিকনিক পার্টির সুস্বাদু রান্নার গন্ধ শুঁকেই জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল হাতিটি। তাছাড়া ব্যাঙডুবির সেন্ট্রাল বস্তির কাছে হামেশাই হাতি দেখা যায়। এখানে সেনাবাহিনীর এক ছাউনি আছে। প্রায় প্রতি সপ্তাহেই সেই ছাউনিতে হাতি ঢুকে পড়ার খবর পাওয়া যায়। আসলে জায়গাটি বনাঞ্চল হওয়ায় সেখানে হাতির ঘুরে বেড়ানো খুব স্বাভাবিক বিষয়। এমন জায়গায় কেউ পিকনিক করতে এলে বিপদ যে বাড়বে তা বলাই বাহুল্য মনে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
পরিবেশপ্রেমীরা দাবি তুলেছেন, শিলিগুড়ি লাগোওয়া প্রতিটি বনাঞ্চলে যাতে কেউ পিকনিক বা আমোদ-প্রমোদ করতে না পারে তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করুক বন দফতর। প্রয়োজনে কড়া শাস্তির বন্দোবস্ত করা হোক। তাঁরা বন দফতরের বিরুদ্ধে এই বিষয়ে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ পর্যন্ত তোলেন।
উল্লেখ, শিলিগুড়ির আরেক দিকে অবস্থিত বৈকন্ঠপুরের জঙ্গলে কঠোর হাতে পিকনিক বন্ধ করে দিয়েছে বন দফতর। কিন্তু এই ব্যাঙডুবি সেন্ট্রাল বস্তিতে পিকনিকের রেওয়াজ এখনও বজায় থাকায় এদিন বড় বিপদের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল বলেই ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের।
অনির্বাণ রায়