শিলিগুড়ি থেকে ওদলাবাড়ি পৌছনোর সাড়ে ৪ কিলোমিটার আগে বাম দিকে টার্ন নিয়ে আড়াই কিলোমিটার গেলেই বাগরাকোট হায়ার সেকেন্ডারি স্কুল। সেখান থেকে ডানদিকে টার্ন নিলেই ঘন জঙ্গলের বুক চিড়ে পৌঁছে যাওয়া যায় চুইখিমে।
আরও পড়ুনঃ দার্জিলিং গিয়ে 'এই' ছোট্ট গ্রামে যাওয়া হয়নি? আর দেরি নয়, এ বারে অবশ্যই ঘুরে আসুন
advertisement
কালিম্পংয়ের উপত্যকা এবং হিমালয়ের কুয়াশার মাঝে যেন লুকিয়ে থাকে চুইখিম। বলাই যায় চুইখিম উত্তরবঙ্গের অজানা রত্ন, যা পাহাড়ি দৃশ্য, সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্ত, ট্রেকিং, মাউন্টেন ভিউ, পাখি এবং প্রজাপতি পর্যবেক্ষণ, জলপ্রপাত, গভীর জঙ্গল, প্রজাপতি প্রেমীদের জন্য স্বর্গ। এখানে গেলে দেখা যাবে গুটিকয়েক পরিবার নিয়ে শান্তিতে রয়েছে স্থানীয়রা মানুষ। আপনি নিশ্চিন্তে আপনার ভালবাসার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একান্তে সময় কাটাতে চাইলে চুইখিমে ঘুরে আসতে পারেন ।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ে গিয়ে আপনি আদৌ হোম স্টে-তেই থাকছেন তো? অবশেষে আসল রহস্য ফাঁস!
শুনলে হয়তো অবাক হবেন, গ্রামে রয়েছে প্রায় ২৬০ পরিবার। তারা ছোট্ট ছোট্ট ভাগ করা জমিতে নিজেরাই চাষ করেন ধান, গম-সহ বিভিন্ন শাক-সবজি। এখানে প্রায় প্রতিটি বাড়িতে গরু রয়েছে। ফলে দুধ ও গোবর দুইই ঘরের প্রয়োজন থেকে ব্যবসার উপকরণ হয়ে উঠেছে। মুরগি পালনও একই উদ্দেশ্যে। কালিম্পংয়ের এই ছোটো গ্রামটির উচ্চতা ৩৫০০ ফিট। বেশীরভাগ মানুষই কৃষিজীবী। গ্রামে রয়েছে ফুলঝাড়ু তৈরির গাছ।
চাষের কাজে সম্পূর্ণভাবে প্রয়োগ করা হয় জৈব সার। কেউ কেউ বন বিভাগের প্রকল্পে ঠিকাদারের অধীনে কাজ করেন। এ দিক-ও দিক মজুরের কাজও হয়, তবে তা কদাচিৎ। ফুল ও অর্কিডের শোভা এখন চুইখিমের শরীর জুড়ে।
অনির্বাণ রায়