কার্শিয়াং-এর গিদ্দা পাহাড়ে নেতাজি স্মৃতিবিজড়িত বাড়িটিতে এসব মূল্যবান ঐতিহাসিক চিঠি ছাড়া নেতাজির অনেক ছবি আছে। নেতাজি এখানে এসে মর্নিংওয়াকে বের হতেন। পাগলাঝোরাতে পাহাড়ি ঝর্নার ধারে নেতাজির মর্নিংওয়াকের ছবিও আছে এখানে। বসু পরিবারের সঙ্গে নেতাজির তোলা অনেক ছবিও আছে। তার বাইরে নেতাজির ব্যবহার করা খাট, ড্রেসিং টেবিল, লেখাপড়ার টেবিল, চেয়ার সবই আছে। নেতাজির দাদা শরৎচন্দ্র বসু ১৯৩৪ সালে ক্যামেলিয়া গাছ সেখানে লাগিয়েছিলেন। আজও তা রয়ে গিয়েছে।।
advertisement
আরও পড়ুন : নেতাজির স্বপ্নপূরণই আরএসএস-এর লক্ষ্য়, কলকাতায় দাবি ভাগবতের! কটাক্ষ অধীর-ফিরহাদের
নেতাজি ইনস্টিটিউট ফর এশিয়ান স্টাডিজের তত্ত্বাবধানে সেই ঐতিহাসিক বাড়ি এখন নেতাজি মিউজিয়াম। আর সেখানে কেয়ারটেকার হিসাবে রয়েছেন পদমবাহাদুর ছেত্রী। তাঁদের কাছ থেকেই জানা গিয়েছে, নেতাজির দাদা স্বাধীনতা সংগ্রামী শরৎচন্দ্র বসু এই বাড়িটি ১৯২২ সালে কিনে নেন সেই সময়ের অসম পুলিশের ডেপুটি সুপার পিটার লেসলির কাছ থেকে। ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত বাড়িটি বসু পরিবারের অধীনে ছিল। ১৯৯৭ সালে রাজ্য সরকার বাড়িটি সংস্কার করে। নতুন মিউজিয়াম আকারে বাড়িটি ২০০০ সালে উদ্বোধন হয়। হরিপুরা কংগ্রেসের ভাষণ এই বাড়িতে বসেই লিখেছিলেন নেতাজি। এখান থেকে গান্ধীজি ও জহরলাল নেহরুকেও তিনি চিঠি লিখেছিলেন।
আরও পড়ুন : লুচি-আলুরদম খেয়েছিলেন, আজও নেতাজীর স্মৃতি বুকে নিয়ে জেগে আছে পাঁচথুপি গ্রাম
বসু পরিবারের সদস্যরা প্রতি বছর গরমের ছুটি বা পুজোর ছুটিতে এই বাড়িতে এসে সময় কাটাতেন। আর সেই বসু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নেতাজিও এসেছেন বেশ কয়েকবার। ১৯২২ থেকে ১৯৩৯ পর্যন্ত তার তথ্য আছে সেখানে। নেতাজি এখানে গৃহবন্দি থাকার সময় চৌকিদারের মাধ্যমে গোপনে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের কাছে অনেক নির্দেশ পাঠিয়েছেন। আবার এই বাড়িতে বসেই নেতাজি ভাইপো ভাইঝিদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলেছেন। তাদের দোলনায় চড়িয়েছেন। বসু পরিবারের সদস্য শিশির বসু, কৃষ্ণা বসুদের কাছ থেকে ১৯৭৩ সালে প্রতিদিন ২ টাকা হাজিরায় এই বাড়ি দেখভালের কাজ পান পদমবাহাদুর ছেত্রি। ১৯৯৬ সালে রাজ্য সরকার এটি সংস্কারের দায়িত্ব নেয়।