২০১৪ সালে প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে চিকিৎসা গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরির সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। মূলত প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে গ্রামীণ এলাকাগুলোতে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াই এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল। ঠিক হয়, পরিকাঠামো তৈরি করতে ৫ কোটি টাকা অনুদান দেবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারকে দিতে হবে গবেষণা প্রতিষ্ঠান তৈরিয জায়গা। এই প্রকল্পের জন্য দেশের ২৮ টি জায়গাকে চিহ্নিত করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বাংলা থেকে নির্বাচিত হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ। তবে এই প্রকল্প শুরু করা নিয়ে প্রথম দিকে বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হয়েছিল।
advertisement
আরও পড়ুন: মা রিলস বানাতে বাধা দেওয়ায় আত্মঘাতী ছাত্রী! এ কী কাণ্ড মুর্শিদাবাদে
কয়েকটি মহল থেকে দাবি করা হয়, ২০১৭ সালে কেন্দ্র প্রাথমিকভাবে ১ কোটি টাকা পাঠালেও, রাজ্য সরকার জায়গা চিহ্নিত না করায় এতদিন থমকে ছিল এই প্রকল্পের কাজ। বিশেষজ্ঞদের মতে, উত্তরবঙ্গ পাহাড়-নদী-জঙ্গলের সমন্বয়ে গড়ে ওঠায় এখানে পতঙ্গবাহিত রোগ লেগেই থাকে। এই সব পতঙ্গের আক্রমণে হামেশাই এখানকার গ্রামের মানুষের মৃত্যু হয়। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, কোন রোগ কেন হয় তা সহজে চিকিৎসকেরা জানতে পারলে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে রোগীকে সুস্থ করে তোলা যাবে। আর এই নতুন গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি সেই সুযোগই করে দেবে।
এই প্রসঙ্গে উত্তরবঙ্গের অফিসার অন স্পেশাল ডিউটি সুশান্ত রায় বলেন, "ভাইরাল লোড ল্যাবরেটরি এই প্রথম উত্তরবঙ্গে খোলা হচ্ছে। যে সমস্ত ভাইরাল রোগগুলি হয় সেগুলি গবেষণা করে সমাধান খোঁজার চেষ্টা করা হবে।"
অনির্বাণ রায়