তবে আগে শালবাড়ি, সুকনা পাহাড়ে যাওয়ার পথ হিসেবেই বেশি পরিচিত হলেও এখন এই জায়গার বেশ কিছু ক্যাফে বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। মানুষ শহরের কোলাহল, যানজট থেকে রেহাই পেতে ভিড় জমান সাল বাড়িতেই ক্যাফেগুলিতে।
ব্যস্ত জীবন থেকে বেরিয়ে কিছুটা সময় কাটাতে, শান্ত পরিবেশে একাকী সময় কাটাতে অথবা বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতে শালবাড়ির বিভিন্ন ক্যাফে এখন শহরবাসীর প্রিয়। শিলিগুড়ি শহরের অলিতে গলিতে রয়েছে ছোট-বড় ক্যাফে। তবুও শহরবাসীর পছন্দের তালিকার বেশিরভাগ জুড়ে শালবাড়ি কিংবা সুকনা সংলগ্ন বিভিন্ন ক্যাফে।
advertisement
এদিন সুকনার একটি ক্যাফেতে ওয়ার্ক ফ্রম হোম কর্মরত এক যুবক জানান, বাড়িতে বসে কাজ করতে ভাল লাগে না। তাই প্রায়ই চলে আসেন সুকনার কোনও ক্যাফেতে। তাঁর কথায়, ‘এই জায়গাটির প্রতি আলাদা ভালো লাগা আছে। তাই আসা।'
শালবাড়ি, সুকনার বিভিন্ন ক্যাফের সুন্দর সাজসজ্জা তো আছেই, তা ছাড়া পাহাড়ি খাবারের জন্যও অনেকে আসেন। এই সমস্ত ক্যাফেতে মোমো, তাইপো, থুকপা, নেপালি স্টাইল আলুর দম-এসবের টানেই বারবার শহরবাসীরা এখানে আসেন।
ক্যাফে মালিক অর্জুন তামাং বলেন, ‘আমাদের এই সমস্ত ক্যাফেতে বেশি করে আমাদের ঐতিহ্যবাহী খাবার বানাতে পছন্দ করি। ফলে গ্রাহকরা আমাদেরঐতিহ্যবাহী খাবারের টেস্টটা পান। শহর থেকে বাইরে আর পাহাড়ের কোলে হওয়ার একটা সুবিধা তো রয়েইছে।'
আরও পড়ুন- হাসপাতালে রোগী নিয়ে এসে চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে, কালনায় অভিযোগ আশা কর্মীদের
শালবাড়িতে নিজেদের ক্যাফেকে সুন্দর করে সাজিয়েছেন লিমা ছেত্রী। জায়গা ছোট্ট হলেও ফুলগাছ, নেপালি মেনু ও সুন্দর ডেকোরেশনের ওপরেই বেশি জোর দিয়েছেন তাঁরা। এবং তাদের মূল আকর্ষণ বিখ্যাত কোরিয়ান ব্যান্ড বি টি এস তাদের ক্যাফের থিম।
তাঁর কথায়, 'যা শহরে পাওয়া যায় সেসবের বদলে তাইপো, ফালে এসবই রাখছি। গ্রাহকদের মন কাড়তে সৌন্দর্যায়নের প্রতি নজর দিয়েছি।' এছাড়াও বি টি এস যারা ভালবাসেন তারা সময় পেলেই এখানে ছুটে আসেন। ক্যাফের পরিবেশ সাথে বাইরের চা বাগানের মনোরম পরিবেশ । শহরের কোলাহল থেকে বেরিয়ে মানুষ একটু শান্তি খুঁজতেই এদিকে ছুটে আসে ।
এদিন কয়েক বন্ধুকে দেখা গেল মনোরম পরিবেশে গল্প করতে। তাদের কথায়, 'শহরের বিভিন্ন ক্যাফেতে ভিড় থাকে। এখানে পাহাড়ের কোলে একটা আলাদাই পরিবেশ। আর পাহাড় ঘুরে পেটপুজোও করা যায়। তাই ভাল লাগে আসতে।'
অনির্বাণ রায়