এটি চিন্তায় ফেলেছে রাজ্যের কৃষি দফতরকে। এমন পরিস্থিতিতে সবজির জোগান ঠিক রাখতে গ্রিনহাউসে জোর দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কৃষি দফতর। যেহেতু তাপ নিয়ন্ত্রণ করে প্রয়োজনমতো চাষাবাদ সম্ভব, তাই গ্রিনহাউস ব্যবস্থা অত্যন্ত সময়োপোযোগী, বলছেন কৃষিকর্তারা।
আরও পড়ুনঃ পাহাড়ের যুবক যুবতীদের জন্য upsc wbcs পরীক্ষার জন্য বিনামূল্যে কোচিং ক্যাম্পের ব্যবস্থা
advertisement
কৃষি দফতরের শিলিগুড়ি মহকুমার আধিকারিক পার্থ রায় বলছেন, ‘কিছুটা হলেও আবহাওয়ার প্রভাব পড়ছে কৃষিক্ষেত্রে। এমন পরিস্থিতিতে গ্রিনহাউস যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। তাই আমরাও কৃষকদের গ্রীন হাউসে চাষ করার উপদেশ দিচ্ছি।’
আরও পড়ুনঃ ২৫০ প্রজাতির আম নিয়ে শিলিগুড়িতে আয়োজিত হতে চলেছে আম উৎসব
গ্রিনহাউস তৈরির ক্ষেত্রে রাজ্য হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্ট ৫০ শতাংশ টাকা বরাদ্দ করে (সরকারি হিসেব অনুসারে প্রতি বর্গমিটার তৈরি করতে ১,০৪০ টাকা ব্যয় হয়। এই হিসেবে রাজ্য দেয় খরচের ৫০ শতাংশ টাকা)। কিন্তু সেইভাবে প্রচার না থাকায় অনেকেই বিষয়টি জানেন না।
শিলিগুড়ি খবর | Siliguri News
কিন্তু গ্রিনহাউসের ওপর কেন জোর দিচ্ছে রাজ্য? কৃষিকর্তাদের বক্তব্য, যেহেতু গ্রিনহাউসে তাপ নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, তাই গ্রীষ্মকাল হোক কিংবা বর্ষাকাল তার প্রভাব চাষে পড়ে না। তাছাড়া অসময়ে চাষ করা সম্ভব হওয়ায় দামটাও বেশি পাবেন চাষিরা।
শিলিগুড়ি মহকুমায় বর্তমানে বড় আকারের চারটি গ্রিনহাউস রয়েছে। রাঙ্গাপানি এবং ফাঁসিদেওয়ার গ্রিনহাউসে উৎপন্ন সবজি বিদেশেও রফতানি করা হচ্ছে।
অনির্বাণ রায়