পাশাপাশি এদিন নতুন করে ৩ যুবতীকে পুলিশ উদ্ধার করেছে। যাদের ওই চক্রটি যৌন কারবার চালানোয় বাধ্য করছিল। ঘটনায় সব মিলিয়ে পুলিশ ৭ যুবতীকে উদ্ধার করল। ঘটনায় গ্রেফতার হওয়াদের মধ্যে ৫ জনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। পুলিশ আরও কিছু মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত করেছে। যার মাধ্যমে খদ্দেরদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হত বলে অভিযোগ।
advertisement
শনিবার মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা এক যুবতীর অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযানে নামে পুলিশ৷ অভিযোগ ছিল, চক্রটি চাকরি দেওয়ার কথা বলে বিজ্ঞাপনে দেওয়া ফোন নম্বরে যোগাযোগ করে ওই যুবতীর মতো আরও অনেকে বাইরের জেলা থেকে শিলিগুড়িতে চলে আসে। যারা শিলিগুড়ির বিভিন্ন জায়গায় ঘর ভাড়া নিয়ে থাকছিল। এমনকি শিলিগুড়ির বেশ কয়েকজন যুবতী বিজ্ঞাপনের ফাঁদে পড়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৬ আসনের সবকটিতে জয়, পঞ্চায়েতের আগে বামেদের জয়জয়কার!
অভিযোগ, এই যুবতীদের প্রথমে নানাভাবে ভুল বুঝিয়ে যৌন ব্যবসায় ধৃতরা নামাতে বাধ্য করে। যুবতীরা যারা এই কারবার থেকে বেরিয়ে আসতে চাইছিল তাদের নানাভাবে ভয় দেখানো হত। সেই ভয়ে অনেকে চক্রটির বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চাইছিল না। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এমন তথ্যই উঠে আসে।
আরও পড়ুন: 'কম দাম ভাল মান', স্ট্রাটেজিতে কেকের বাজার মাত করল 'ছোট'রা
তবে মুর্শিদাবাদের ওই যুবতী সাহস করে পুলিশের দ্বারস্থ হতেই গোটা চক্রের পর্দা ফাঁস হয়ে যায়।শনিবার বিকালের মধ্যে চারজনকে হেফাজতে নিয়ে তাদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছিল। এরপরই আরও তিনজনের নাম উঠে আসে। এরপর শহরের একাধিক জায়গায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ নতুন তিনজনকে গ্রেফতার করে। মহিলা কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালিয়ে পুলিশ দুপুরের মধ্যে নতুন করে তিনজনকে উদ্ধার করে। যুবতীদের অধিকাংশের পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। পরিবারকে আর্থিক দিক থেকে সহযোগিতা করার জন্য প্রায় প্রত্যেকে কাজের খোঁজ করছিল। তবে চক্রের পেছনে থাকা মূল পান্ডার খোঁজ শুরু করছে পুলিশ।