এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে শিলিগুড়ি শহরের প্রায় ৩৫ হাজার বিদ্যুতের খুঁটি থেকে সরিয়ে নেওয়া হবে তার। মেয়র গৌতম দেব বলেন, "আমরা পর্যায়ক্রমে কাজ করব। ডব্লিউবিএসইডিসিএল বিভাগ ইতিমধ্যেই বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরি করেছে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে।"
আরও পড়ুন: প্রাথমিক স্কুলের সামনে হাইরোড, অথচ বাউন্ডারি ওয়াল নেই! প্রাণ হাতে নিয়ে পড়াশোনা করছে কচিকাঁচারা
advertisement
প্রধান সড়ক থেকে সরু রাস্তা, সর্বত্র বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ঝুলন্ত তারের কারণে শহরে অগ্নিকাণ্ড, দুর্ঘটনা বাড়ছে। রাস্তায় বেরোলেই চোখ আটকে যায় বিদ্যুতের পোলে। এটা শহরের দৃশ্য দূষণ করেছে। যত দিন যাচ্ছে, সেই তারের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। ইন্টারনেটের যুগে প্রতিযোগিতা করতে গিয়ে বাইরের অনেক কেবল কোম্পানি এই শহরে তাদের ঘাঁটি স্থাপন করেছে। পুরভোটের আগে নির্বাচনি প্রচারে এসে অরূপ বিশ্বাস বলেছিলেন, ক্ষমতায় এলে শিলিগুড়িতে মাটির নিচ দিয়ে বিদ্যুতের তার নিয়ে যাওয়া হবে। পুরবোর্ডের একবছর পূর্তির আগেই সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে তৎপর হয়েছে পুরনিগম ও রাজ্য সরকার।
এই বিষয়ে শুক্রবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে মেয়র গৌতম দেব বলেন, "এসএমসি এলাকায় প্রায় ৩৫ হাজার বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। যাবতীয় তার মাটির তলা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ খরচ হবে। এজন্য আমরা নির্দিষ্ট এলাকার উপর ভিত্তি করে কাজটি ধাপে ধাপে করব। চূড়ান্ত প্রতিবেদনের পরই খরচ চূড়ান্ত করা যাবে। তবে এই কাজের শেষে শহরে দুর্ঘটনা যেমন কমবে তেমনই শিলিগুড়িকে আরও অনেক বেশি ঝকঝকে দেখাবে।"
অনির্বাণ রায়