পাশাপাশি রোগীর পরিবার পরিজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই যেতে দেওয়া হচ্ছে। প্রসূতি বিভাগের বাইরে সিসিটিভি ক্যামেরাও ঠিক করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগ থেকে নবজাতক শিশু চুরির ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘটনার পরই নড়েচড়ে বসেছে মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ।এরপর রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান গৌতম দেব মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষের অফিসে কলেজ ও হাসপাতালের আধিকারিক এবং মেডিকেল ফাঁড়ির পুলিশকে নিয়ে বৈঠক করেন। বৈঠকের পর গৌতম নিওনেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (নিকু) চিকিৎসাধীন ওই শিশুটিকে দেখতে যান। সেখান থেকে তিনি প্রসূতি বিভাগে গিয়ে শিশুটির মায়ের সঙ্গেও কথা বলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে মোষ পাচারের আগেই গাড়ি সহ ধৃত পাচারকারী
পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘একটা শিশুকে চুরির ঘটনা কোনওভাবেই মানা যায় না। এই ঘটনার পর থেকেই পুলিশ এবং মেডিকেল কর্তৃপক্ষ তৎপর হয়েছিল। যার ফলে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফেরানোর পাশাপাশি অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা গিয়েছে।তিনি আরও জানিয়েছেন, হাসপাতালের নজরদারি আরও কড়াকড়ি করতে প্রসূতি এবং সিক নিউবর্ন কেয়ার ইউনিট (এসএনসিইউ) লাগোয়া এলাকায় আরও ২০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিটি ক্যামেরার নজরদারি যাতে আরও ভালোভাবে হয় সেই পদক্ষেপও করা হচ্ছে। এই বৈঠকের পরেই মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ ইন্দ্রজিৎ সাহা, হাসপাতাল সুপার ডাঃ সঞ্জয় মল্লিক, ডেপুটি সুপার সুদীপ্ত মণ্ডল, ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত এবং মেডিকেল ফাঁড়ির বড়বাবু সুদীপ দত্ত মেডিকেলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন।
অনির্বাণ রায়