একসময় রক্তদান শিবিরের সঙ্গে ‘স্বেচ্ছা’ শব্দটির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। কিন্তু বর্তমান সময়ে পাইয়ে দেওয়ার মানসিকতা থাবা বসিয়েছে এই মহত কাজেও। দার্জিলিং, শিলিগুড়ি, গোপাষ্টমি শাখার পক্ষ থেকে এদিন মন্দির প্রাঙ্গণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে ১৬ জন রক্তদাতা স্বেচ্ছায় রক্ত দান করলেন যারা কেউই চোখে দেখতে পান না।
আরও পড়ুন তিন মারণ রোগকে জয় বৃদ্ধের! কামাল এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালের
advertisement
রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ কতটা ভয়াবহ আকার নেবে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। তার মধ্যেই নতুন চিন্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে প্লেটলেটের অপ্রতুলতা। কারণ, ডেঙ্গির প্রকোপ যত বাড়বে, ততই বাড়বে প্লেটলেটের চাহিদা। কিন্তু সেই হারে রক্তদান শিবির হচ্ছে না। যেটুকু হচ্ছে, সেখানেও রক্তের উপাদানের পৃথকীকরণ নিয়ে গড়িমসি রয়েছে। ফলে শহরের অধিকাংশ সরকারি ব্লাড ব্যাঙ্কেই প্লেটলেট কার্যত তলানিতে। সেখানে দৃষ্টিহীনদের রক্ত দান সবার মনে ছাপ ফেলবে, এবং সকলে রক্ত দিতে এগিয়ে আসবে বলে মনে করছেন সংস্থার কর্মকর্তারা।
সংস্থার তরফে কৈলাস আগরওয়াল জানিয়েছেন ডেঙ্গির প্রভাবে রক্তের আকালে ভুগছে শহরবাসী।সেখানে দৃষ্টিহীনরা দিলেন এক বিশেষ বার্তা৷ বিরজু তিরকি প্রথমবার রক্ত দিয়ে খুব খুশি। তিনি জানালেন, প্রথম বার রক্ত দিতে এলাম। আমরা যদি রক্ত দিতে পারি তাহলে সকলেই দিতে পারবে। সমাজের কাজে আসতে পেরে তারা ভীষণ খুশি।
অনির্বাণ রায়