কীভাবে দুটি দেশ পর্যটন ও বাণিজ্যে লাভবান হতে পারে তা নিয়েই সিআইআই ও থাইল্যান্ডের ওই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক হয় শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার একটি অভিজাত হোটেলে। সেখানেই থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন সেদেশের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ট্রাইরং সুওয়ানরিকি ও প্রাক্তন বাণিজ্যমন্ত্রী থারাডল থুংরুয়াং। এদিন শুধু পর্যটনেব বিষয়ই নয়, আলোচনায় উঠে আসে দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য নিয়েও। এদিন সিআইআই-এর চেয়ারম্যান প্রদীপ আগরওয়াল, ভাইস চেয়ারম্যান জিএস হোড়া, সভাপতি নরেন্দ্র চন্দ্র গর্গ-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের মধ্যে প্রবীর শীল, সঞ্জয় টিব্রুয়াল, পর্যটন প্রতিনিধি সম্রাট সান্যাল, রাজ বসু উপস্থিত ছিলেন। থাইল্যান্ড যেহেতু পর্যটন নির্ভর দেশ তাই এদিন পর্যটন নিয়েই আলোচনা হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- কেটলি থেকে চা ঢাললে কোন কাপটি সবার আগে ভরবে? মজার এই ধাঁধার উত্তরটা বার করতে পারবেন কি?
বাগডোগরার সঙ্গে থাইল্যান্ড, ভুটান ইতিমধ্যে আকাশপথে জুড়ছে। তাই আন্তর্জাতিক এই পথে সরাসরি বিমান চালানোর দাবি করা হয়েছে। এতে শুধু থাইল্যান্ড থেকেই নয়, সিঙ্গাপুর মালয়েশিয়া থেকে পর্যটকেরা উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং-সিকিম আসতে পারবেন সহজে। থাইল্যান্ডের ওই প্রতিনিধি দলও জানিয়েছে একসময় দার্জিলিং জনপ্রিয় ছিল। তবে এখন প্রচার কমেছে। এটা বাড়াতে হবে। তাই সিআইআই-এর একটি পর্যটন প্রতিনিধি যেতে চাইছে থাইল্যান্ডে।
সিআইআই-এর পর্যটন প্রতিনিধি সম্রাট সান্যাল বলেন, থাইল্যান্ড বৌদ্ধ ধর্মের দেশে। দার্জিলিং সিকিম-সহ এই অংশে বহু বৌদ্ধ ধর্মের মানুষ রয়েছেন। তাই পর্যটন আদান প্রদান বাড়বে। আগামী দুই বছরের মধ্যে বাগডোগরা বিরাট জায়গা নিতে চলছে। এজন্যই বাগডোগরা থেকে সরাসরি বিমান চালু করার কথা বলা হয়। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাও বলছেন, শুরুতে বড় বিমান না হলেও ছোট বিমানও চলতে পারে। এনিয়ে দেশে গিয়ে আলোচনা করা হবে। এতে পর্যটকেরা সহজেই বেড়াতে পারবেন।
অনির্বাণ রায়