টুসু দেবীকে কুমারী হিসাবে কল্পনা করে তার আরাধনা করা হয়। টুসু পরবের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ চৌডল। কিন্তু আধুনিকতার ছোঁয়ায় চৌডল কেনার ভিড় দেখা যাচ্ছে না ঝালদার হাট গুলিতে। বিগত দিনে এই হাটে এক মাস ধরে জমে উঠত মহিলাদের ভীড়। কিন্তু বর্তমানে আর সেরকম ভিড় দেখা যায় না। আধুনিক যুগে টুসু পরবের কদর কমছে বর্তমান প্রজন্মের কাছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ফের শীতের দাপট! আজ পারদ ঊর্ধ্বমুখী হাওড়ায়, সপ্তাহান্ত কেমন কাটবে?
হাতে গোনা কয়েকটা টুসু হাটে নজরে পড়ছে। ঝালদা হাটে চৌডল কিনতে আসা এক ক্রেতা জানান, এক সময় ঝালদা হাটে চৌডল বিক্রি হতো প্রচুর। কিন্তু এখন আর সেরকম ভাবে বিক্রি হচ্ছে না। হাটে টুসু নিতে এসে দেখি হাতে গোনা কয়েকটা টুসু। আধুনিক যুগের ছেলে মেয়েরা মোবাইলে ব্যস্ত তারা স্থানীয় সংস্কৃতি ভুলতে বসেছে তারা। বিগত দুই বছর করোনার কারণে টুসু উৎসব হয়নি। এ বছর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ধুমধাম সহকারে টুসু পরব মেতে উঠবে গোটা পুরুলিয়া।
টুসু উৎসবের মূল আকর্ষণ টুসু সঙ্গীত। দেবীর আরাধনার সময় বাড়ির মেয়ে-বউরা টুসু গান গেয়ে থাকেন। এই অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় মেলাও বসে। তাই মানভূমের মাটিতে টুসু উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। আগামী দিনে ও গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যকে পরবর্তী প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা ধরে রাখবে এমনটাই আশা রাখছেন প্রবীণ নাগরিকেরা।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি