একদা পুরুলিয়া শহরের এক সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে নিচু জাতি হওয়ায় অপমানিত হয়ে ফিরে আসতে হয়েছিল ধীবর সম্প্রদায়ের মানুষদের। সেই অপমানের জবাব দিতে তাঁরা নিজেরাই জমি দান করেন। পারিশ্রমিকের টাকা জমিয়ে তিল তিল করে তৈরি করেন এই দুৰ্গা মন্দির। বর্তমানে এই মন্দিরের নাম সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে আগুন লাগবে না আর, ধোঁয়া উঠলেই চালু হবে স্প্রিঙ্কলার…, নিরাপত্তা হবে আরও জোরদার
advertisement
প্রতিবছর দুর্গাপুজোর সময় এই মন্দিরে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম হয়। পূজোর দিনগুলিতে নানা সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। রীতি মেনে ষষ্ঠীর দিন থেকে মায়ের আরাধনা শুরু হয়। একাদশীর দিন হয় বিসর্জন। ধীবর সমিতির বিসর্জনের দিন রাখা হয় আতশবাজির প্রতিযোগিতা। কয়েক হাজার মানুষের সমাগম হয় এইদিন। এ বছরও তাদের দুর্গাপূজোয় চলছে জোর কদমে প্রস্তুতি।
এ বিষয়ে ধীবর সমিতির এক সদস্য জানান , এই পুজোর জন্য তাঁরা কোনও চাঁদা তোলেন না বা কোনও অনুদান পান না। মা দুর্গার নামে যে সমস্ত পুকুরগুলি রয়েছে সেই পুকুরের মাছ বিক্রি করে যে অর্থ উপার্জন হয় তা দিয়েই এই পুজোর আয়োজন করা হয়। এ বছরও তাদের প্রস্তুতি রয়েছে তুঙ্গে।
এ বিষয়ে ধীবর সমিতির মহিলারা জানান এই পুজো একপ্রকার তাঁদের ঘরেরই পুজো। এই পুজোকে ঘিরে তাঁরা আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে চারটে দিন তাদের আনন্দের সঙ্গেই কাটে।
পুরুলিয়া জেলা-সহ ভিন জেলা এবং ভিন রাজ্য থেকে বহু উৎসাহী মানুষ ধীবর সমিতির পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। বিশেষত প্রতিমা নিরঞ্জনের দিন রাসমেলা ময়দানে মানুষের ভিড় থাকে চোখে পড়ার মত। এবছরও সেরা পুজোর তকমা বজায় রাখতে ধীবর সমিতির তৎপরতা রয়েছে তুঙ্গে।
শমিষ্ঠা বন্দ্যোপাধ্যায়