এ বিষয়ে জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আধিকারিক সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী জানিয়েছেন , দেড় থেকে দু কেজি ওজনের কষ্টি পাথরের একটি বুদ্ধ মূর্তির মস্তক পাওয়া গিয়েছে। যা আনুমানিক খ্রীস্টিয় পঞ্চম শতাব্দীর। ভারতীয় জাদুঘরে এমন মূর্তি রয়েছে। এই মূর্তিকে ‘সারনাথ’ মূর্তি বলা হয়। প্রায় ৬০০ বছর আগেকার এই মূর্তি পুরুলিয়ার জৈন ভূমিতে কিভাবে পাওয়া গেল তা গবেষণার বিষয়। এই মূর্তি রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগের আয়তায় থাকা কলকাতার বেহালায় রাজ্য প্রত্নতত্ত্ব সংগ্রহশালায় রাখা হবে।
advertisement
আরও পড়ুন: দুবাইয়ের জেলে ভয়াবহ অত্যাচার! ওয়েব সিরিজের নামে মাদক-চক্রে ফাঁসানো! অবশেষে ঘরে ফিরলেন বলি নায়িকা!
উদ্ধার হওয়া মূর্তি বিষয়ে পুরাতত্ত্ব গবেষক তথা ‘জৈন সংস্কৃতি সংরক্ষক’ উপাধি পাওয়া সুভাষ রায় বলেন, এটি সম্পূর্ণ জৈন মূর্তি। এটি প্রত্নমূর্তি বা তীর্থঙ্কর মূর্তির মস্তক অংশ। ১৮৭২ খ্রীস্টাব্দে ঐতিহাসিক জে. ডি বিগলারের রিপোর্ট অনুযায়ী ধাদকিটাড়ের উল্লেখ পাওয়া গিয়েছিল। তিনি সেই সময় ওই এলাকায় ১২০ বর্গফুট জুড়ে জৈন প্রত্নস্থল দেখতে পেয়েছিলেন।
আরও পড়ুন:
পরবর্তীতে সেখানে দুটি মূর্তি পাওয়া যায় একটি তীর্থঙ্কর মহাবীরের ও অপরটি শান্তিনাথ ভগবানের। খুব স্বাভাবিকভাবে আমরা এটাই বলতে পারি এই মূর্তিটিও তীর্থঙ্কর মূর্তির একটি ভগ্নাংশ। জৈন পটভূমি নামে পরিচিত পুরুলিয়ার পুঞ্চা ব্লকের পাকবিড়রা। একাধিক স্থাপিত উদ্ধার হয়েছে এখান থেকেই। রাজ্য পর্যটন বিভাগ ইতিমধ্যেই হেরিটেজ টুরিজম তকমা দিয়েছে এই এলাকাকে। এই ঐতিহাসিক জায়গা থেকে মূর্তি উদ্ধার হওয়ায় উৎসাহিত প্রত্ন গবেষকরা।
শমিষ্ঠা ব্যানার্জি