পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর- বাঁকুড়া রাজ্য সড়কের উপর অবস্থিত জনপ্রিয় একটি জায়গা ভন্দুর মোড়। এই রাস্তার নামকরণ হয়েছে এলাকারই বাসিন্দা ভন্দু তথা দুর্গাদাস কর নামে এক ব্যক্তির নাম অনুসারে।
এলাকায় রয়েছে তার একটি ছোট্ট চায়ের দোকান। অনেকেই এই দোকানে চা খেতে আসেন। ১৯৬০ সালে এই দোকানের পথচলা শুরু হয়। ৬৩ বছর ধরে এই দোকান চালাচ্ছেন দুর্গা দাস কর ওরফে ভন্দু। সরকারিভাবে খাতায়-কলমে তার নাম অনুযায়ী এই রাস্তার মোড়ের নামকরণ হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুর ‘জালিকাট্টুর’-র স্বাদ পুরুলিয়ার কাড়া লড়াইয়ে, শীতের হাত ধরেই ‘খেলা’ শুরু
এ বিষয়ে দুর্গাদাস কর বলেন , দীর্ঘ দিন ধরে তিনি এই দোকানটি চালাচ্ছেন। আগে তিনি চপ , সিঙ্গারা , মিষ্টি বানাতেন এই দোকানে। কিন্তু বর্তমানে বয়সের ভারে পেরে ওঠেন না তিনি। তাই চা ও মুখরোচক কিছু খাবার বানান। ১৫ বছর বয়স থেকে তিনি এই দোকান করে আসছেন। তার নামেই এই রাস্তার নামকরণ হওয়ায় গর্বে তার বুক ভরে যায়। তার ভীষনই ভাল লাগে।
এ বিষয়ে তার স্ত্রী মায়ারানী কর বলেন , তার বড়ই গর্ব হয় তার স্বামীর নামে এই রাস্তার নামকরণ হওয়ায়। তিনিও প্রথম থেকে সমানতালে স্বামীর সঙ্গে ব্যবসার কাজে হাত লাগান।
এ বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা বলেন , এই এলাকার প্রথম দোকান এটি। বহু পুরানো এই দোকান। ভন্দুর যথেষ্ট নাম ডাক রয়েছে সব জায়গায়। আর তারই নাম অনুসারে এই মোড়ের নাম হওয়ায় এলাকাবাসী হিসেবে ভীষণই গর্ববোধ হয়।
ছাপোসা ঘরের সাদামাটা এক ব্যক্তি দুর্গাদাস কর। অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত তার পড়াশোনা। সংসারে অভাব লাগব করতে বাবার সঙ্গেই চা ও তেলেভাজার দোকান শুরু করেন তিনি। সেই সময় এলাকায় দোকান বলতে শুধুমাত্র এই একটি দোকানে ছিল।
সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খোলা থাকতো এই দোকান। এখনও সেই নিয়মেই চলে দোকানটি। তার চপ এতই বিখ্যাত যে এলাকায় তার চপের খুবই চাহিদা বাড়ে। ধীরে , ধীরে তার নাম সকলের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আর তাতেই শিলমোহর দেয় সরকার। সরকারিভাবে তার নাম অনুসারে নামকরণ হয় এলাকার মোড়ের। তাকে নিয়েই গর্বিত গোটা পুরুলিয়া।
শর্মিষ্ঠা ব্যানার্জি