মাত্র ছ মাস আগে বিয়ে হয়েছিল অস্মিতার। কেতুগ্রাম থানার মাসডুণ্ডি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি। অস্মিতার স্বামী কলকাতায় কাজ করেন। ঘটনার দিন রান্না করার পাশাপাশি স্বামীর সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছিলেন তিনি। গ্যাস জ্বলছিল। অজান্তেই সেই গ্যাস থেকে আগুন ধরে যায় অস্মিতার শাড়ির আঁচলে। তাতেও হুঁশ ফেরেনি। শাড়ির আঁচল জ্বলছে যখন, তখনও ভিডিও কলে কথা চালিয়ে যাচ্ছিলেন অস্মিতা। ধীরে ধীরে আগুন ছড়াতেই ফোন রেখে চিৎকার শুরু করে দেন তিনি।
advertisement
আরও পড়ুন: বেহালার স্মৃতি এখনও দগদগে ক্ষত, তবু নিষেধাজ্ঞা উড়িয়েই বিক্রি হচ্ছে ভেজাল সরষের তেল!
অস্মিতার চিৎকার শুনে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। তারাই জল ঢেলে তাঁর গায়ের আগুন নেভান। তড়িঘড়ি তাঁকে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় রামজীবনপুর হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা চলাকালীনই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। পরে তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। দু'সপ্তাহ সেখানেই চলছিসল চিকিৎসা। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। সোমবার সকালে মৃত্যু হল অস্মিতার।
আরও পড়ুন: কাঁথির জবাব কাঁথি থেকেই, অভিষেকের পাল্টা সভা করবেন শুভেন্দু
এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, অতিরিক্ত মোবাইল আসক্তির জন্যই অকালে একটা প্রাণ চলে গেল। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ওই মহিলার দেহের বেশিরভাগ অংশই পুড়ে গিয়েছিল। শরীরের সামনের দিকের পেট ও তার উপরিভাগ দগ্ধ হয়ে যায়। এই ধরনের রোগীদের বাঁচানো বেশ কষ্টকর হয়ে দাঁড়ায়। সংক্রমণের ভয়ও থাকে। অস্মিতাকে বাঁচানোর সব রকম চেষ্টা চালানো হয়েছিল বলেও জানান তাঁর চিকিৎসক। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, শেষরক্ষা হয়নি।