তাম্রলিপ্ত পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পদুমবসান এলাকায় এক বাড়িতে থাকতেন ৮০ বছর বয়স্ক অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী ও তার মেয়ে। এছাড়াও বৃদ্ধের রয়েছে স্ত্রী এবং আরও এক মেয়ে। কিন্তু বাড়িতে বৃদ্ধের সঙ্গে থাকতেন তার বড় মেয়ে, তিনি ৩৫ বছর বয়সী। প্রতিবেশীদের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধের বড় মেয়ে মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন।
advertisement
আরও পড়ুন: শীতের সন্ধে ভরে উঠুক কাশ্মীরি লঙ্কার চপের স্বাদে! বাড়িতে সহজেই বানিয়ে ফেলুন, রইল রেসিপি
বৃদ্ধের ছোট মেয়ে বিবাহিতা এবং তার বাড়িতেই থাকেন বৃদ্ধের স্ত্রী। প্রতিদিন বাড়িতে কাজ করতে আসত পরিচারিকা। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। কিন্তু চলতি মাসের ১২ তারিখ মঙ্গলবার থেকে ওই মহিলা ভেতর থেকে দরজা বন্ধ রাখায় বাড়িতে আসা পরিচারিকা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। প্রতিদিন বারবার দরজা ধাক্কা দিয়ে ও চিৎকার করে ডাকার পরেও ভেতর থেকে দরজা খোলেনি ওই মহিলা।
আরও পড়ুন: খড়গপুর আইআইটিতে চাকরির বিরাট সুযোগ! জেনে নিন বিস্তারিত
২০ ডিসেম্বর বুধবারও যথারীতি পরিচারিকা এসে ফিরে যান। ওই বাড়ি থেকে বৃদ্ধের মেয়ের কান্নার আওয়াজ পায় প্রতিবেশীরা। প্রতিবেশীরা খবর দেয় স্থানীয় কাউন্সিলরকে এবং খবর দেওয়া হয় তমলুক থানায়। এদিন তমলুক থানার পুলিশ স্থানীয়দের সহযোগিতায় দরজা ভাঙে। ভেতরে ঢুকলে দেখা যায় ওই মহিলা তার মৃত বাবাকে ধরে শুয়ে আছে। দীর্ঘদিন না খাওয়ার ফলে ওই বয়স্ক বৃদ্ধ মারা গিয়েছেন বলে অনুমান পুলিশের।
তমলুক থানার পুলিশ উদ্ধার করে মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠায় এবং তাঁর মেয়ে কে তাম্রলিপ্ত গভমেন্ট মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে চিকিৎসার জন্য। ঘটনার খবর দেওয়া হয় মৃত বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে। যদিও প্রতিবেশীরা প্রশ্ন তুলছেন প্রায় এক সপ্তাহ ধরে বৃদ্ধের স্ত্রী ও ছোট মেয়ে কেন খোঁজখবর নেয়নি! তমলুকে এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সৈকত শী