মৃত ব্যবসায়ী পরিবারের সদস্যদের মারফত জানা যায় ১৬ আগস্ট মঙ্গলবার বেসরকারি অর্থলোগ্নী সংস্থার লোনের কিস্তি মেটানোর উদ্দেশ্যে সকালে এক লক্ষ ত্রিশ হাজার টাকা নিয়ে হলদিয়া যাওয়ার কথা ছিল। বাইক নিয়ে বেরিয়েছিলেন। কিন্তু ওইদিন না ফেরায় খোঁজাখুঁজি শুরু করে বাড়ির লোক। তারা হলদিয়ার অর্থ লগ্নি সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে কিন্তু সেখান থেকে জানা যায় রফিউল সংস্থার অফিসে যাননি। খোঁজাখুঁজির পরে রবিউল এর খোঁজ না পাওয়ায় তার স্ত্রী ভগবানপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। বৃহস্পতিবার বিকেলের পর কাঁথি পুলিশ সূত্রে খবর আসে কাঁথি হাসপাতালে বুধবার রাত থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। কাঁথি হাসপাতালে গিয়ে বাড়ির লোক রবিউলের দেহ সনাক্ত করে। কিন্তু রবিউলের সঙ্গে থাকা টাকার ব্যাগ বা টাকার কোনও খোঁজ মেলেনি। বাইকটি গ্যারেজ থেকে পাওয়া গিয়েছে। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায় ১৬ আগস্ট গভীর রাতে কাঁথি বাইপাসের ধার থেকে রফিউলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। হাসপাতালে কর্মরত থাকা চিকিৎসকেরা তখনই তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তারপর মৃত রবিউলের ঠাঁই হয় কাঁথি হাসপাতালে মর্গে অজ্ঞাত পরিচয় মৃতদেহ হিসাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: অনুব্রতর ২ রাইসমিলের বিরুদ্ধে শুরু হয় CID তদন্ত, রহস্যজনকভাবে বন্ধও হয়ে যায়! চাঞ্চল্যকর তথ্য
আরও পড়ুন: তদন্তে সহযোগিতা করছেন না, হেফাজতে চাইবে সিবিআই? আজ ফের আদালতে অনুব্রত
রবিউলের পরিবারের অনুমান রবিউলের সঙ্গে থাকা টাকার কারণে তাকে খুন করা হয়েছে। মৃতের শরীরে ও মাথার পিছন দিকে আঘাত এর চিহ্ন আছে। পারিবারের সদস্যদের আভিযোগ সংশ্লিষ্ট লোন সংস্থার লোকজন নগদ এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা নিয়ে পরিকল্পনা মাফিক রফিউলকে খুন করেছে। পরিবার এর লোকের আরও দাবি মৃত সেক রফিকুল চুল ব্যাবসার জন্য ওই লোন সংস্থা থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা লোন নিয়েছিলেন। চুল সময় মতো বিক্রি না হওয়ায় লোনের কয়েকটা কিস্তি বাকি ও পড়ে গিয়েছিলো। সেই জন্য লোন সংস্থা থেকে বেশ কয়েকবার হুমকি ও দিয়েছিল। ফলে রফিউল পরিচিত কয়েক জনের কাছে এক লক্ষ তিরিশ হাজার টাকা যোগাড় করে হলদিয়া লোন অফিসে লোনের টাকা পরিশোধ করার জন্যে বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিল। তারপর তার মৃতদেহ উদ্ধার হল কাঁথি হাসপাতালের মর্গ থেকে।
Saikat Shee