Digha Jagannath Temple Prasad: পর্যটকদের জন্য সুখবর! দিঘায় খাবার নিয়ে চিন্তা নেই! ব্রেকফাস্ট থেকে ডিনার এবার জগন্নাথ মন্দিরেই মিলবে সব, জানুন কীভাবে অর্ডার করবেন

এবার দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকেই পাওয়া যাবে ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ, ডিনার। হোটেলে বসে অর্ডার করলেই আপনার কাছে পৌঁছে দেবে মন্দির কর্তৃপক্ষ। দিঘা জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধন হওয়ার পরে থেকেই পর্যটকদের সংখ্যা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। দিঘায় আগত ভক্তদের কথা মাথায় রেখে এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে রাতের ডিনার সবটাই এখন আপনি দিঘা জগন্নাথ মন্দির থেকে পাবেন। (তথ্য ও ছবি : মদন মাইতি)

মেনুতেও থাকবে এলাহি আয়োজন। সকালের ব্রেকফাস্টে লুচি সবজি অথবা চাইলে খিচুড়ি ও অর্ডার করতে পারেন। লুচি-সবজি মাত্র ৫০ টাকা। আর খিচুড়ি অর্ডার করলে ১০০ টাকা প্রতি প্যাকেজ। তবে সকালের ব্রেকফাস্ট নিতে চাইলে আগের দিন রাত নটার মধ্যেই আপনাকে অর্ডার দিতে হবে।

দুপুরের লাঞ্চে আবার দু ধরনের প্যাকেজ রয়েছে—সাধারণ প্যাকেজ ও স্পেশাল প্যাকেজ। সাধারণ প্যাকেজে থাকবে অন্ন ভোগ-সহ পাঁচ রকমের পদ। ডাল, সবজি, ভাজা, মিষ্টি থেকে নানান ধরনের পদ মিলবে। খরচ মাত্র ১০০ টাকা। আর স্পেশাল প্যাকেজ এর মধ্যে রয়েছে অন্ন ভোগ-সহ আট রকমের পদ। রয়েছে ঘি পরোটা, পনিরও। আর স্পেশাল প্যাকেজ এর জন্য খরচ পড়বে মাত্র ১৫০ টাকা।

আর ডিনারের মহাপ্রসাদেও দুপুরের মতই দুই ধরনের প্যাকেজ রয়েছে। সাধারণ প্যাকেজে অন্নভোগ-সহ পাঁচ রকমের পদ। আর স্পেশাল প্যাকেজে অন্ন ভোগ-সহ আট রকমের পদ। যেদিন জগন্নাথ দেবকে যা ভোগ দেওয়া হবে তাই মহাপ্রসাদ হিসেবে ভক্তদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। প্রতিদিন ভিন্ন রকম প্রস্তুতি থাকায় ভক্তরা নতুন স্বাদের অভিজ্ঞতা পাবেন।

শুধু তাই নয়, মিষ্টির প্যাকেজও রয়েছে। মিষ্টির প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে গজা, প্যাড়া, খাজা, লাড্ডু। দাম ৫০ থেকে ১০০ টাকা। সারাদিন যে কোনও সময়ে আপনি এই মিষ্টির প্যাকেজ অর্ডার করতে পারেন। আপনি চাইলে মন্দিরে এসেও মহাপ্রসাদ কিনে নিতে পারেন। এখানে বসে খাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তবে হোটেলে বসে অর্ডার করলে প্রতি প্যাকেজে ১০ টাকা করে ডেলিভারি চার্জ দিতে হবে।

দিঘায় নাগালের মধ্যে হোটেল পাওয়া গেলেও খাওয়া-দাওয়া আকাশছোঁয়া দাম। এক পর্যটক স্বাগতা প্রধানের কথায়, "দিঘা হোটেল ভাড়াতে যা খরচ না হয় তার থেকে বেশি খরচ হয় তিন বেলা খাবার দাওয়ারে।" এখন অনেক পর্যটক দিঘায় এলে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত খাবারের দায়িত্ব তুলে দিচ্ছেন জগন্নাথ মন্দিরের ওপর। এতে যেমন প্রসাদ সেবনের সুযোগ হচ্ছে, তেমনই খরচও অনেকটাই কমছে।