হিন্দুশাস্ত্র অনুসারে পিতৃপক্ষের অবসান ও দেবিপক্ষের সূচনায় দেবতা, ঋষি ও মৃত পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে জল নিবেদন করে তাঁদের সন্তুষ্ট করার পদ্ধতিকে তর্পণ বলা হয়। বংশের যে সকল পিতৃপুরুষ পরলোক গমন করেছেন, তাঁদের প্রীতির উদ্দেশ্যে মন্ত্র উচ্চারণপূর্বক স-তিল জল (তিল মেশানো জল) দান করে সাধারণত পুত্রসন্তানেরা পিতৃতর্পণ করে থাকেন।
আরও পড়ুনঃ আরও একধাপ এগিয়ে গেল নয়াচর মৎস্যহাব প্রকল্প
advertisement
প্রতিবছর মহালয়ার ভোর থেকে তমলুকের রূপনারায়ণ নদীর কপাল মোচন ঘাটে তমলুক সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এসে ভিড় জমায় তর্পণের উদ্দেশ্যে। তর্পনের পর নদীতে স্নান সেরে বাড়ি ফিরে মানুষজন। মহালয়ার দিন নদী পাড়ে তর্পণে আসা মানুষদের সুবিধার্থে পৌরসভা থেকে রূপনারায়ণ নদের ঘাট পরিষ্কার সহ, তৈরি করা পুরুষ ও মহিলাদের জন্য আলাদা আলাদা শৌচালয়, এছাড়াও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
মহালয়ার দিন ভোট থেকে সকাল পর্যন্ত চলবে তমলুকের নদী পাড়ে পূর্বপুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ। তার আগে শনিবার সমস্ত কিছু ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে তমলুকের নদী পাড়ে আসেন তাম্রলিপ্ত পৌরসভার চেয়ারম্যান দীপেন্দ্র নারায়ণ রায়। সুষ্ঠু ও শৃঙ্খলা পরায়ণভাবে সমস্ত মানুষ তর্পণ করতে পারে তার জন্য নদী ঘাটে পুলিশ প্রশাসনের নজরদারি থাকবে বলে জানা যায় পৌরসভা সূত্রে।
Saikat Shee