যদিও শাসক দলের থেকে সংখ্যালঘু ভোটাররা মুখ ফিরিয়ে নিলেও তা থেকে বিজেপি আদৌ লাভবান হয়েছে নাকি বাম-কংগ্রেস, তা স্পষ্ট করেননি বিরোধী দলনেতা৷
শুভেন্দু এ দিন দাবি করেছেন, নিরপেক্ষ ভোট হলে বিজেপি অন্তত তিরিশ হাজার গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনে জয়লাভ করত৷ এর পরেই তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে শুভেন্দু বলেন, ‘মুসলিম ভোটের সিংহভাগ এখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই রয়েছে৷ কিন্তু একটা বড় ফাটল ধরেছে৷’ বিরোধী দলনেতার দাবি, নিজের বিধানসভা এলাকা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নন্দীগ্রামের কয়েকটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ফল বিশ্লেষণ করেই এই উপলব্ধিতে পৌঁছেছেন তিনি৷
advertisement
আরও পড়ুন: মমতা নিজে গিয়েও শেষ রক্ষা হল না! বাজি বিস্ফোরণের খাদিকুল গ্রামে হারল তৃণমূল
শুভেন্দু বলেন, ‘নন্দীগ্রামে বিধানসভা ভোটের সময় এই সংখ্যালঘু ভোটাররা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ভোট দিয়েছিলেন৷ আমাকে অথবা মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়কে দেননি৷ কিন্তু আগে যদি একশো জনই সংখ্যালঘুই তৃণমূলকে ভোট দিতেন, এখন ষাট জন দিচ্ছেন৷ এটাকে ধস বলে না, ফাটল বলে৷ এই ফাটলটাকেই আরও বাড়াতে হবে৷ চাকরি নেই, শিক্ষা নেই, স্বাস্থ্য পরিষেবা নেই৷ পঞ্চায়েত ভোট পর্বেই গত ৯ জুন থেকে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে তার মধ্যে ২২ জনই মুসলিম৷ এর পর সংখ্যালঘুরাই ঠিক করবেন তাঁরা এই সরকারকে তাড়াবেন নাকি মরবেন?’
শুভেন্দুর নিজের বিধানসভা এলাকা নন্দীগ্রামে সংখ্যালঘু ভোট উল্লেখযোগ্য সংখ্যায় রয়েছে৷ তা সত্ত্বেও ১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১০টি দখল করেছে বিজেপি৷ আবার মুর্শিদাবাদ, মালদহের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় তৃণমূলের চিন্তা বাড়িয়েছে বাম কংগ্রেস জোট৷ ফলে শাসক দলের সংখ্যালঘু ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরে থাকলেও তা থেকে পদ্ম শিবির আদৌ উপকৃত হল কি না, তা নিয়ে বাক্য ব্যয় করেননি শুভেন্দু অধিকারী৷ বিরোধী দলনেতার এই মৌনতাই প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, তৃণমূল থেকে সরে সংখ্যালঘু ভোট কি বাম-কংগ্রেসের ঝুলিতেই যাচ্ছে?