মন্দির পরিচালন কমিটি সূত্রের খবর, এদিন মন্দির চত্বর সাজান হয়েছিল প্রায় পাঁচ হাজার আটটি প্রদীপ দিয়ে। প্রদীপের আলোর ঝলকানিতে ঝলমলাচ্ছিল গোটা মন্দির প্রাঙ্গণ, এক স্বর্গীয় আভা ছড়িয়ে পড়েছিল চারদিকে। দিনভর চলেছে কীর্তন, নাম-সংকীর্তন ও নৃত্য। দূরদূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্ত দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে প্রথম দীপাবলি ও কালীপুজোয় অংশ নিতে হাজির হন। সন্ধ্যা সাতটা থেকে শুরু হয় অভিষেক ও লক্ষ্মী পুজো।
advertisement
এদিন ভক্তির আবেশে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার করে নৈহাটির বড়মাকে ভিডিও কলের মাধ্যমে অর্পণ করা হয় জগন্নাথ দেবের ভোগ। এক অনন্য রীতিতে এই ভোগ নিবেদন দেখে ভক্তরা মুগ্ধ। কলকাতা ইসকনের সহ-সভাপতি ও দিঘা জগন্নাথ ধাম ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য রাধারমন দাস বলেন, ”কালীপুজো ও দীপাবলির সঙ্গে এবারই প্রথমবার জগন্নাথ মন্দিরে এই মহোৎসব পালন করা হল। জগন্নাথের প্রসাদ প্রথমে বিমলা দেবীকে অর্পণ করা হয়। তখন সেটি মহাপ্রসাদ হয়ে যায়। বিমলা দেবীর রূপই হলেন কালী মা। আজ নৈহাটির বড়মাকে ভিডিও কলের মাধ্যমে জগন্নাথ দেবের মহাপ্রসাদ অর্পণ করা হয়েছে।”
দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে কালীপুজো ও দীপাবলির অনুষ্ঠান শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোর থেকে ছিল ভক্তদের ভিড়। সন্ধ্যাবেলায় প্রদীপ প্রজ্বলন ও লক্ষ্মী পুজোয় অংশ নেন হাজারও ভক্ত। মন্দির কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে দিনভর ছিল নানান কর্মসূচি।