শিবশঙ্কর পাত্রের বাড়ি খেজুরির সেরখাঁচক। সে দীর্ঘদিন ধরেই প্যানক্রাইটিসে ভুগছে। এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা আদৌ দিতে পারবে কিনা তা কিছুদিন আগেও নিশ্চিত ছিল না। শেষ পর্যন্ত মধ্যশিক্ষা পর্ষদ ও স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে বসেই তার পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। প্রশাসনের এই সাহায্যে খুশি শিবশঙ্কর পাত্রর পরিবার। কঠিন অসুখের সঙ্গে লড়াই করতে হলেও এইভাবে পরীক্ষা দিতে হওয়ায় বিচলিত নয় শিবশঙ্কর। বরং তার মনে লড়াইয়ের জেদ আরও ফুটে উঠছে।
advertisement
আরও পড়ুন: বন্য শুয়োর চাষ করা ভুট্টা খেয়ে সাফ করে দিচ্ছে, মাথায় হাত কৃষকদের
এই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীর বাবা সঞ্জয় পাত্র পেশায় দিনমজুর। কোনরকম সংসার চালান। তার উপর ছেলের চিকিৎসার খরচ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়। এই অবস্থায় পরীক্ষার শুরুর আগের দিন, অর্থাৎ ২২ ফেব্রুয়ারি শিবশঙ্কর হঠাৎ গুরুতরভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে ভর্তি করা হয় নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ফলে সে আদৌ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়। যদিও স্থানীয় প্রশাসন এগিয়ে এসে যাবতীয় ব্যবস্থা করে দেয়। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসার পাশাপাশি মন দিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে এই মেধাবী ছাত্র।
সৈকত শী