পুলিশের সাহায্যে ওই গৃহবধূর স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারে হোম কর্তৃপক্ষ। অবশেষে সমস্ত নিয়মকানুন মেনে স্বামীর হাতে তুলে দেওয়া হল ওই গৃহবধূকে।
আরও দেখুন – লজ্জায় মুখ ঢাকুন, বাথরুমে যাওয়ার সময় কিশোরীকে মুখে বাঁধা হল গামছা, তারপর ধর্ষণ, দেখুন
শারীরিক অসুস্থতার জন্য ডাক্তার দেখাতে বাড়ি থেকে রওনা দেওয়া রেখা কুমারীর সঙ্গে স্বামীর যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য সঙ্গে রেখার স্বামীর যাওয়া হয়ে ওঠেনি ওঠেনি, স্বামীর কথামতো ট্রেনে করে ফরেস্টেশনে ডাক্তারের কাছে গিয়ে অপেক্ষা করার বদলে রেখা ভুল করে দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে পরে তারপর যখন বুঝতে পারে রেখা, বহুদূর চলে এসেছে তখন তড়িঘড়ি করে ট্রেন থেকে নেমে যায় এবং কোলাঘাটে দিশাহারা অবস্থায় ঘোরাফেরা করতে থাকে। এখানে উদভ্রান্ত রেখাকে রেল পুলিশ দেখে আর রেখার তখন মনের অবস্থা এমন ছিল সব যেন বুদ্ধি ভ্রম ঘটে গেছে, কিছুই বলতে পারে না রেখা।
advertisement
আরও দেখুন
রাজ্য পুলিশের সহায়তা নিয়ে রেখা নিমতৌড়ী তমলুক উন্নয়ন সমিতির স্বাধার গৃহ হোমে থাকা রেখা দেবী দীর্ঘ চিকিৎসা এবং কাউন্সেলিং করে জানতে পারা যায় রেখা দেবীর ঠিকানা। যোগাযোগ করা হয় ছাপরা থানার পুলিশের সঙ্গে। এখানকার থানার পুলিশও কিছুটা সময় নিয়ে নেয় তারপর খুঁজে পাওয়া যায় রেখা কুমারী বাড়ি।
রেখার ছবি দেখে বাড়ির লোকজনেরা রেখাকে চিনতে পারে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে রেখার স্বামী দিল্লি, কলকাতা, মুম্বাই, বিভিন্ন স্থানে খুঁজে বেড়িয়ে ছিলেন, প্রায় রেখার আশা ছেড়েই দিয়ে ছিলেন। আর ঠিক তখনই থানা থেকে ওদের কাছে খবর যায় এবং পরে সমস্ত নিয়ম কানুন মেনে আজ দেখা দেবী স্বামীর হাত ধরে নিজের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়।
বাড়িতে রেখার দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বড় ছেলে বাবার সঙ্গে সব্জি ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত হলেও মেয়ে মা হারিয়ে যাওয়ার পর লেখাপড়া বন্ধ করে দিয়েছে। ছোট ছেলে লেখাপড়া করে। বড়ই আফসোস রেখা দেবীর, হোমের সুপার রিক্তা সিংহ বলেন হোমে আসার পর রেখা দেবীকে শারীরিক ভাবে সুস্থ করে তোলার সঙ্গে সঙ্গে আমরা স্বাক্ষর করেছি ও টেলারিং-র কাজ শিখেছে এছাড়াও নার্সারির কাজে নিজেকে নিপুণ করে তুলেছে রেখা কুমারী দেবী। দীর্ঘ পাঁচ বছর পর ও বাড়ি ফিরে যাচ্ছে এটাই আমাদের আনন্দের।
Saikat Shee