TRENDING:

Purba Medinipur: জেলা জুড়ে বিভিন্ন নদ-নদীর গতিপথ দখলমুক্ত করতে অভিযান

Last Updated:

শেষ মুরশুমে অতিবৃষ্টি, ও নদী বাঁধ ভেঙে কার্যত পুরো জেলায় মানুষজন জলবন্দী হয়ে পড়েছিল। সমুদ্র ও নদী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জল নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে, নদীর তীরে অবৈধ মাছের ভেড়ি ও ইটভাটার কারণে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#পূর্ব মেদিনীপুর : শেষ মুরশুমে অতিবৃষ্টি, ও নদী বাঁধ ভেঙে কার্যত পুরো জেলায় মানুষজন জলবন্দী হয়ে পড়েছিল। সমুদ্র ও নদী পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় জল নিকাশি ব্যবস্থা কার্যত ভেঙে পড়েছে, নদীর তীরে অবৈধ মাছের ভেড়ি ও ইটভাটার কারণে। জেলা জুড়ে বিভিন্ন নদ-নদীর পাড়ে মাছের ভেড়ি ও ইঁটভাটার গড়ে ওঠায় বর্ষাকালে নদীর স্বাভাবিক গতিপথ অবরুদ্ধ। ফলে জল নিকাশি ব্যবস্থা ব্যহত হচ্ছে। গত বছর বর্ষার মুরশুমে দীর্ঘদিন জলবন্দি অবস্থায় কাটানোর পর জেলা জুড়ে মানুষজন ক্ষোভে ফেটে পড়ে নদীর তীরে অবৈধ মাছের ভেড়ি ও ইঁটভাটা নিয়ে। মানুষের দাবি ছিল এইসব নদীর তীরে অবৈধ মাছের ভেড়ি ও ইঁটভাটার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কোর্টের নির্দেশে নদী তীরবর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি ইঁটভাটা ভাঙার কাজ করছে প্রশাসন। এবার কেলেঘাই নদীর তীরে থাকা ইটভাটা ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কেলেঘাই নদী সংস্কারের পরও গত বছর ভয়ঙ্কর বন্যার সম্মুখীন হয়েছিল ভগবানপুর, পটাশপুরের লক্ষ লক্ষ মানুষ। প্রায় তিনমাস জলবন্দি হয়ে পড়েছিল মানুষজনেরা। ঘরবাড়ি ছেড়ে দিল কেটেছে স্কুল ঘরের ফ্লাড রিলিফ সেন্টারে।
advertisement

ভগবানপুর ও পটাশপুরের বন্যা কবলিত মানুষজনের অভিযোগ বন্যার প্রধান কারণ ছিল কেলেঘাই নদীর গতিপথ আটকে নদীর বুকে গড়ে ওঠা অনেক অনেক ইঁটভাটা ও মাছের ভেড়ী। বন্যার পর থেকেই এ নিয়ে সরব হয়েছেন ভগবানপুর ও পটাশপুরের মানুষ। সেচ দফতরের জমিতে কি করে গড়ে উঠল ভাটা তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন। এবার প্রশাসনের সক্রিয়তায় নদীর চর থেকে ইঁটভাটা উচ্ছেদের কাজ শুরু হল। কেলেঘাই নদীর দক্ষিণ তীরে মহম্মদপুর গ্রাম। এই গ্রামে অবস্থিত একটি ইঁটভাটা, একসময় ব্যক্তিগত জমিতে থাকলেও নদী সম্প্রসারণের ফলে ইঁটভাটাটি চলে যায় সেচ দফতরের অধীনে থাকা জায়গায়।

advertisement

আরও পড়ুনঃ নিম্নচাপের দুর্যোগের প্রভাব রাখী বিক্রিতে

তারপর থেকে নদীর ভেতরে নদীর বকচর এর বিস্তৃত এলাকা দখল করেই চলছিল ইঁটভাটা। বন্যা পরবর্তি পরিস্থিতির পর নদীর চর থেকে ইঁটভাটা সরানোর প্রক্রিয়া শুরু করে প্রশাসন। ওদিকে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে রাজ্যের সমস্ত নদীর চর ও পাড় থেকে উচ্ছেদ করতে হবে সমস্ত ইঁটভাটা। তারপর আরও তৎপর হয় প্রশাসন। শেষ পর্যন্ত প্রথম ইঁটভাটাটি সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হল। ইঁটভাটার মালিক মানস কুমার মন্ডল জানিয়েছেন, প্রশাসনের তরফ থেকে বারবার চাপ আসছিল। তাই ভাটা সরিয়ে নিতে বাধ্য হচ্ছি। প্রশাসনের এই কাজে খুশী এলাকার মানুষ। এই প্রসঙ্গে বন্যার সময় ঘরছাড়া হয়ে যাওয়ার ভগবানপুরের এক বাসিন্দা বলেন, 'এ কাজ অনেক আগে করা উচিত ছিল। কেলেঘাই নদীর বুকের অবৈধ দখলদারদের আগেই উচ্ছেদ করলে ২০২১ এর ভয়াবহ বন্যার সম্মুখীন হতে হত না ভগবানপুর, পটাশপুরের মানুষকে।

advertisement

View More

আরও পড়ুনঃ জেলায় একাধিক প্রকল্পের কাজ খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল

ভগবানপুরের বন্যা কবলিত পাজনকুল গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, ''প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসার যোগ্য। তবে, আমরা চাইছি এই একটা বা দুটো ইঁটভাটা শুধু তুললে হবে না। লাঙলকাটা থেকে টেংরাখালী পর্যন্ত যত ইঁটভাটা আছে নদীর বুকে সব তুলতে হবে। এবং যত দ্রুত সম্ভব তুলতে হবে। এরজন্য প্রশাসনকে আরও সচেষ্ট হতে হবে।'' নদীর চর বা পাড়ে থাকা ইঁটভাটা সরানোর প্রসঙ্গে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জেলাশাসক পূর্ণেন্দু কুমার মাজী বলেন, ''জেলায় রূপনারায়ণ ও হলদি নদীর চর বা পাড় থেকে একাধিক ইঁটভাটা। ইতিমধ্যেই সরানো হয়েছে। আমরা প্রক্রিয়া শুরু করেছি। আগামীদিনে এই প্রক্রিয়া চলবে।''

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'আসছে বছর আবার হবে'! দিঘার সমুদ্রে বিলীন দেবী দুর্গা, ঢেউয়ের গর্জনে মিশল বিদায়ের সুর
আরও দেখুন

Saikat Shee

বাংলা খবর/ খবর/পূর্ব মেদিনীপুর/
Purba Medinipur: জেলা জুড়ে বিভিন্ন নদ-নদীর গতিপথ দখলমুক্ত করতে অভিযান
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল