নন্দকুমার মোড়ে দাঁড়িয়ে দিঘা ও হলদিয়াগামী গাড়ি চালকদের হাতে চা-বিস্কুট ও ইংরেজি নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্র তুলে দেয় নন্দকুমার থানার ট্রাফিক বিভাগের পুলিশকর্মীরা। একটানা গাড়ি চালানোর ফলে চালকদের মধ্যে অনেক সময় ঘুম ঘুম ভাব ও ঝিমুনি চলে আসে। মূলত এই কারণেই শীতের রাতে পথ দুর্ঘটনা ঘটে। তাই গাড়িচালকদের ঝিমুনি কাটাতে পুলিশের পক্ষ থেকে এমন অভিনব উদ্যোগ।
advertisement
আরও পড়ুন: বর্ষবরণে মদ বিক্রিতে রেকর্ড, পূর্ব মেদিনীপুরের আয় শুনলে মাথা ঘুরে যাবে
নতুন বছরের শুরুতেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় পথদুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে চারজন। সেই কথা মাথায় রেখেই শীতের রাতে পথ দুর্ঘটনা এড়াতে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়। শীতকালের রাতে একটানা গাড়ি চালালে ঠান্ডায় হাওয়ায় ক্লান্ত চালকদের তাড়াতাড়ি ঘুম পেয়ে যায়। যার ফলে এইসময় পথ দুর্ঘটনার শিকার হয় বহু দূরপাল্লার গাড়ি। এদিকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একদিকে আছে হলদিয়া শিল্পতালুক ও বন্দর। অন্যদিকে দিঘা, মন্দারমনির মতো সমুদ্র সৈকতকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্র। ফলে জাতীয় সড়কগুলিতে গাড়ির সংখ্যা সবসময়ই বেশি থাকে বেশি।
এই জেলার একদিকে কোলাঘাট-হলদিয়া ১১৬ জাতীয় সড়ক, অন্যদিকে নন্দকুমার-দিঘা ১১৬ বি জাতীয় সড়কের লেন চলে গিয়েছে। এই রাস্তাতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। পর্যটকদের গাড়ি যেমন দুর্ঘটনার কবলে পড়ে, তেমনই বড়বড় ট্রাক দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আর এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে গিয়ে দেখা যাচ্ছে একটানা গাড়ি চালানোর ফলে ক্লান্ত চালকদের স্টিয়ারিং ধরেই ঝিমিয়ে পড়া। তাই নন্দকুমার থানার ট্রাফিক বিভাগের উদ্যোগে দুর্ঘটনা এড়াতে রাতের রাস্তায় গাড়ি নিয়ে যাওয়া চালকদের চা, জল-বিস্কুট দেওয়া হয়। ট্রাফিক ওসি গোপাল মাইতি নিজে দাঁড়িয়ে থেকে একেল পর এক গাড়ি দাঁড় করিয়ে চালকদের হাতে তুলে দেন চা, জল, বিস্কুট ও নববর্ষের শুভেচ্ছাপত্র। পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি গাড়ি চালকরা।
সৈকত শী