নয়াচরে মাছ চাষে বছরে প্রায় ২০০ কোটি টাকার লেনদেন হলেও রাজ্য সরকারের ভাঁড়ারে কোন রাজস্ব আসে না। এবার নয়াচরে উপযুক্ত পরিকাঠামো তৈরি করে মাছ চাষের হাব করতে চায় সরকার। তাই নয়াচরে মৎস্যজীবীদের নিয়ে সমবায় গড়ে তোলার কাজ চলেছে। ইতিমধ্যে ৩ হাজার মৎসজীবিদের ৮০টি সমবায় গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে নয়াচরের মৎসচাষীদের সমবায়ে নাম রেজিস্ট্রেশন কাজ চলছে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা
সমবায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য প্রতিটি মৎস্যজীবীদের সরকার নির্ধারিত মূল্যে নাম নথিভুক্ত করতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত এতদিন নয়াচরে প্রচুর পরিমানের মাছের উৎপাদন করা হলেও নেই মাছের কোনও সংরক্ষন ব্যবস্থা। যার ফলে অনেক মাছ নষ্ট হয়ে ক্ষতির শিকার হতে হয় মৎস্যচাষীদের। এবারে তাদের পাশে দাঁড়াল হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদ। নয়াচরের মাছ সংরক্ষনের জন্য হলদিয়ায় চিলিং প্ল্যান্ট ও প্রসেসিং ইউনিট গড়তে চলছে এইচ ডি এ। হলদিয়ার বাসুদেবপুরে এইচ পি এল লিংক রোডের পাশে ১০ একর জমিতে ফুডপার্ক গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
শীঘ্রই এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য মৎস্য দফতরের সংস্থা বেনফিসকে টেন্ডার করা হয়েছে। হলদিয়া উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান জ্যোতির্ময় কর বলেন, “ফুড পার্কের জন্য জমি চিহ্নিতকরন হয়েছে। দ্রুত হস্তান্তর করা হবে। মৎসচাষীদের সুবিধার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান আরও বাড়বে।” মাছ সংরক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় নয়াচর থেকে বাজারে নিয়ে যাওয়ার পথে ব্যপক পরিমান মাছ মারা যায়।
আরও পড়ুনঃ চাঁদার জুলুমে নাজেহাল গাড়ি চালক থেকে বাইক আরোহী! পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
তাই ফিসিং হাব গড়ে উঠলে তার পাশাপাশি ফুড পার্ক পরস্পরের কাজে লাগবে। প্রসঙ্গতঃ অতীতে ২০০৪ সালে এইটডিএ ফুড পার্ক করার জন্য ৭০ একর জমি চিহ্নিতকরন করা হয়েছিল। কোন সংস্থা টেন্ডারে অংশ গ্রহন না করায় পরিকল্পনা ভেস্তে যায়। সেই জায়গা বহু বছর ফাঁকা পড়েছিল। সেখানে নুতন ভাবে কাজে লাগানোর উদ্যোগ নিয়েছে এইচডিএ।
Saikat Shee