পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের জুনপুট রাস্তার শনি মন্দিরের কাছে, 'একান্ত আপন' নাম ওই চিকিৎসকের বাড়ির। হঠাৎই এ দিন পচা গন্ধ পান স্থানীয় মানুষ। সন্দেহ হওয়ায় প্রতিবেশীরা খবর দেন কাঁথি থানায়। পুলিশ এসে দরজা ভাঙার পর দেখতে পায় চিকিৎসক পত্নী মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
আরও পড়ুনঃ মিলনের সময় মেয়েদের কানে কানে 'এই' কথাগুলো বলুন, উত্তেজনায় পাগল হবে, উজাড় করবে নিজেকে
advertisement
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, বাড়িতে কাঁথি'র স্বনামধন্য ইএনটি (নাক কান গলা) চিকিৎসক বিশ্বজিৎ সামন্ত, তাঁর স্ত্রী ও এক কন্যাকে নিয়ে বাস করতেন। বিশ্বজিৎ সামন্তের ছেলে থাকলেও, তিনি এই বাড়ি থাকতেন না। এবং কয়েকদিন ধরে চিকিৎসকও বাড়িতে থাকছিলেন না। পারিবারিক বোঝাপড়ার সমস্যা জনিত সমস্যা বলেই জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ ভেন্টিলেশন থেকে বেরোলেন ঐন্দ্রিলা, ৬ দিন পর আশার আলো দেখালেন সব্যসাচী
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চিকিৎসকের একটি মেয়ে। দীর্ঘ চার বছর ধরে তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করলেও, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউই মুখ খুলতে নারাজ। ছেলে ইন্দ্রনীল সামন্ত কে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে, তিনি কিছু বলতে চাননি। ডাক্তাররের মেয়ের নাম মিঠু সামন্ত।
ডাক্তার পত্নীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বাঁধছে। ফাঁকা বাড়িতে মা-মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিল না। এই মৃত্যু নিয়ে দানা বাঁধছে রহস্য। নিছকই আত্মহত্যার ঘটনা নাকি পরিকল্পিতভাবে খুন? তা ময়নাতদন্তের পরে জানা যাবে। কাঁথি থানার পুলিশ অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে মৃতদেহ কাঁথি হাসপাতালে পাঠিয়েছে ময়না তদন্তের জন্য। স্থানীয়দের দাবি, ডাক্তার পত্নী আত্মহত্যা করেননি, এই মৃত্যুর পেছনে রয়েছে মেয়ের হাত। মানসিক ভারসাম্যহীন মেয়ে হাতেই মা খুন হয়েছেন বলে তাঁদের মত।
Saikat Shee