জানা গেছে, ১৬ জুলাই রাতে কাজের সময় হঠাৎই আগুন লেগে যায় কারখানায়। মুহূর্তের মধ্যেই তাতে অগ্নিদগ্ধ হন ৯ জন শ্রমিক। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৪ জুলাই রাতে মৃত্যু হয় মনোজিৎ দাসের। ২৮ জুলাই শুক্রবার মনোজিতের দেহ গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসে।
মনোজিৎ সহ ওই কারখানার আরও চার শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যাঁদের বাড়ি মহারাষ্ট্র, কর্নাটক ও পশ্চিমবঙ্গে। আশঙ্কাজনক পাঁচজন এখনও চিকিৎসাধীন। রাতেই সম্পন্ন হয়েছে শেষকৃত্য। ২৯ বছরের তরতাজা যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় কান্নায় ভেঙে পড়েছে পুরো পরিবার।
advertisement
মনোজিতের প্রতিবেশী দাদা পবিত্র কুমার দাস বলেন, মনোজিত ওই কোম্পানিতে পাঁচ বছর ধরে কাজ করেছিল। তিনি নিজেই ওই কোম্পানিতে ৯ বছর কাজ করেছেন। এর আগে কোনদিন এ ধরনের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।
আরও পড়ুন, কাটতে চলেছে খারাপ সময়! অগাস্টেই তৈরি ‘বিরল’ যোগ, ভাগ্যবদল হবে এই ৩ রাশির
আরও পড়ুন, ১-২টো নয়, শরীরে রয়েছে ৫০০টি পা! বিরল এই প্রাণী ঘিরে হইচই কাণ্ড
মনোজিতের কোম্পানি চিকিৎসার খরচের পাশাপাশি, পরিবারের পুরো দায়িত্ব নিয়েছে। ছেলের বিয়ের কথা আলোচনা চলছিল। বাড়িও বানিয়েছেন নতুন। মনোজিৎ এর বাবা বাদল চন্দ্র দাস দোষ দিচ্ছেন নিজের কপালকে। ভারী গলায় তিনি বললেন, ‘ছেলে কি আর ফিরবে!’ তরতাজা যুবকের কাজের জন্য ভিন রাজ্যে গিয়ে মৃত্যুর খবরে এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
Saikat Shee