বিষাক্ত মাকড়সার কামড়ে হাত ঝলসে ফোসকা পড়ে পটাশপুর ২ নম্বর ব্লকের মধ্য চল্লিশের মহিলা মঞ্জু দাসের। নভেম্বরের হালকা শীতের সকালে বাড়ির উঠোনে জ্বালানি রোদে দিয়েছিলেন সেই জ্বালানি তুলতে গেলে বিপত্তি। জ্বালানি তোলার সময় একটি মাকড়সা উঠে বসে ওই মহিলার বাঁ হাতে। এক পর্যায়ে মাকড়সাটি কামড় দেয় মহিলার হাতে। কামড় দেয়ার সঙ্গে সঙ্গেই যন্ত্রণায় ফেটে পড়ে ওই মহিলা। মহিলার পরিবারের লোকজন মাকড়সাটিকে মেরে প্যাকেট বন্দি করে মহিলাকে নিয়ে স্থানীয় কোয়াক ডাক্তারের কাছে যায় চিকিৎসার জন্য।
advertisement
কিন্তু সময় যত গড়ায় ব্যথা ও যন্ত্রণার তীব্রতা তত বাড়তে থাকে এবং গোটা হাতে ফোসকা পড়লে মহিলা সহ মহিলার বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পরের দিন বাড়ির লোক তাঁকে ভর্তি করে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। প্রায় ১০ দিনের ধরে এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে চলে চিকিৎসা। চিকিৎসা চলার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন ওই বছর ৪২ এর মহিলা মঞ্জু দাস। বাড়ি পটাশপুর- ২ ব্লকের নোনাকৌড়দার। তাঁর হাতের ত্বক ঝলসে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালের সুপার সমীর আচার্য।
আরও পড়ুন: ফাইট ঐন্দ্রিলা! প্লিজ ফিরে আয়! মেয়ের জন্য ভগবানের কাছে কাঁদছেন ঐন্দ্রিলার আর এক মা!
হাতে তৈরি হওয়া ক্ষত ধীরে ধীরে শুকোতে শুরু করেছে এবং তা ভাল হতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে। আতঙ্কের কারণ নেই বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক৷ হাসপাতালের চিকিৎসক তপেন্দু মান্না বলেন, ' ওই মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁকে ট্যারান্টুলায় কামড়েছে। বিষাক্ত মাকড়সায় কামড়ালে যে ক্ষত তৈরি হতে পারে, মানুষের ত্বক নষ্ট করে দিতে পারে, এই ঘটনা থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে।' মহিলার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। সকালবেলা বাড়ির উঠোনে কাজ করতে গিয়ে আরেকটু হলে প্রাণ সংশয় হয়ে পড়ছিল মঞ্জু দাসের। এই যাত্রায় প্রাণ বাঁচলেও আতঙ্ক এখনও কাটেনি।
Saikat Shee