ময়না থানার শ্রীকণ্ঠা গ্রামের বাসিন্দা শেখ আনোয়ার ময়না পাঁশকুড়া ও তমলুকের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ফুটবল টুর্নামেন্টের একটি পরিচিত নাম। ২২ বছরের যুবক শেখ আনোয়ার ফুটবল স্কিলকেই হাতিয়ার করে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে। ফুটবলের পাশাপাশি মন দেওয়া নেওয়ার খেলায় সে দক্ষ খেলোয়াড় হয়ে উঠেছিল। কিন্তু পর্দা ফাঁস হল ময়না থানারই এক সিভিক ভলেন্টিয়ারের মেয়ের সঙ্গে প্রেমের লীলা খেলার করতে গিয়ে।
advertisement
ময়না থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায় বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নামের আড়ালে মেয়েদের সঙ্গে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু সিভিক ভলেন্টিয়ার মেয়ের সঙ্গে প্রেম করতে গিয়ে ফেঁসে যায়। অভিযোগ জমা পড়ে ময়না থানায়। পুলিশ বাড়ি থেকে ওই যুবককে আটক করে ময়না থানায় নিয়ে আসে। ময়না থানার পুলিশ ওই যুবকের ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে। মোবাইল ঘেঁটে দেখা যায় একসঙ্গে একাধিক মেয়ের সঙ্গে সেক্স চ্যাটে মগ্ন দক্ষ ওই খেলোয়াড়! এরপরই পুলিশ জানতে পারে এক সঙ্গে অনেক মেয়ের সঙ্গে পরিচয় ও ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে শেখ আনোয়ার।
ময়না, নন্দকুমার, পাঁশকুড়া, তমলুক ও কোলাঘাটে বিভিন্ন ফুটবল টুর্নামেন্ট হলে টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে খেলতে যায় শেখ আনোয়ার। আর ফুটবলের স্কিলের মত কিশোরীদের মন নিয়ে খেলায় মেতে উঠেছে বলে জানতে পারে পুলিস। এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র ময়না থানা এলাকার পাঁচ প্রেমিকার হদিশ পাওয়া গেছে। ময়না থানার পুলিশ ওই পাঁচজন প্রেমিকাকেও থানায় ডেকে পাঠায়। ওই পাঁচ কিশোরীর মধ্যে চারজন একাদশ দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী। পরিচয় গোপন করে চারজনের সঙ্গে প্রেম করত বলে জানা যায়।
এদিন থানা চত্বরে পাঁচ কিশোরী হাজির হওয়ার পর তারাও হতবাক হয়ে যায়। প্রত্যেকেই জানায়, ওই যুবক বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেম করেছে। আনোয়ার কখনও প্রদীপ , আবার কখনও প্রভাত নাম বলে কিশোরীদের প্রেমে ফাঁসিয়েছে। একটি মেয়ের সঙ্গে চার বছরের সম্পর্ক তার। সেই মেয়ের পরিবার আনোয়ারকে হবু জামাই বলে ধরে নিয়েছিল। অবশেষে মুখোশ খুলে যাওয়ায় এক প্রেমিকার মা আবার থানাতেই অজ্ঞান হয়ে যান। তাঁকে গড়ময়না ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়।
ময়না থানার ওসি গোপাল পাঠক বলেন, ওই যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। একাধিক মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রেখেছিল। পস্কো কেসের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।থানারই এক সিভিক ভলান্টিয়ারের মেয়ে বেশ কিছুদিন ধরে পড়াশোনার ফাঁকে সব সময়ই ফোনে খুব ব্যস্ত থাকত। এনিয়ে ওই সিভিকের সন্দেহ হয়। তিনি মেয়ের ফোন থেকে যুবকের নম্বর বের করেন। ফোন নম্বরের সূত্র ধরে থানার ওসিকে সবটাই জানান। ওই যুবকের ফোন বাজেয়াপ্ত করে ঘাঁটতে গিয়ে সবটাই সামনে আসে। ফুটবলের পাশাপাশি প্রেমের খেলায় দক্ষ ঐ খেলোয়াড় শেখ আনোয়ার আপাতত শ্রীঘরে!
Saikat Shee