পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া থানার সরশত্যা গ্রামের বাসিন্দা স্বর্ণাভ সামন্ত। বাবা অজিত সামন্ত। এই স্বর্ণাভর সঙ্গে ২০২৩ সালে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ করে বিয়ে হয় পাঁশকুড়ার সুড়ারপুল গ্রামের সুস্মিতা মাজীর। জানা যায় শুধু রেজিস্ট্রি বিয়ে নয়, এরপর রীতিমত মন্দিরে গিয়ে মন্ত্র উচ্চারণের মধ্য দিয়ে শাস্ত্র মতে বিয়ে হয় তাদের। সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল কিন্তু বর্তমানে স্বামী স্বর্ণাভ সামন্ত ও শ্বশুর অজিত সামন্ত আর গুরুত্ব দিচ্ছে না। স্ত্রীর মর্যাদাও দিচ্ছে না। স্ত্রী মর্যাদা আর অধিকার পেতে শ্বশুর বাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছেন সুস্মিতা সামন্ত যা নিয়ে এলাকায় চঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে স্বর্ণাভ সামন্ত বাড়িতে আর অজিত সামন্ত বাড়িতে নেই বলে পরিবারের দাবি।
advertisement
ধর্ণায় বসা আর সুস্মিতার দাবি, ‘২০২৩ সালের আগস্ট মাসে মুম্বাইয়ে তাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হয়। এরপর মুম্বাইয়ের একটি মন্দিরে রীতিমত শাস্ত্র মেনে বিয়ে হয়। বিয়ের আগে থেকে তাঁর বাবা স্বর্ণাভ সামন্তের ডাক্তারি পড়ার জন্য প্রায় দফায় দফায় ১৬ লক্ষ টাকা দেয়। কিন্তু বর্তমান সময়ে সেই বিয়ের স্বীকৃতি দিতে নারাজ স্বামী ও শ্বশুর। তাই স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্ণায় বসেছি।’ অজিত সামন্ত ফোনে জানিয়েছেন ওই মহিলা আরও দুটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে লিপ্ত আছে তার প্রমান পত্র আছে তাঁদের কাছে। আর রেজিস্ট্রি ম্যারেজ আর ছবি সব ভুয়া। তবে টাকা দেওয়ার কথা দাবি করছে ওটা তারা ঐ পরিবারের কাছ থেকে লোন হিসাবে নিয়েছেন।
সোমবার সন্ধ্যার পর স্বামীর অধিকার দাবিতে সুস্মিতা শ্বশুরবাড়ির সামনে রাতভর ধর্ণায় বসে। সঙ্গে থাকে সুস্মিতার মা। ঘটনাস্থলে আসে পাঁশকুড়া থানার পুলিশ। পুলিশ এলেও ধর্ণা থেকে উঠতে নারাজ সুস্মিতা। প্রথমে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ডাক্তারি ছেলের পড়ার খরচ নেন অজিত সামন্ত।
সাক্ষীদের উপস্থিতিতে রেজিস্ট্রি ম্যারেজ তারপর শাস্ত্রমতে বিয়ে হয় স্বর্নাভ ও সুস্মিতার। কিন্তু তারপরও ছেলে স্ত্রী হিসাবে সুস্মিতাকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। এই ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে পাঁশকুড়া এলাকায়।





