১৪ সেপ্টেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের প্রশাসনিক সভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন তাজপুর বন্দরের কাজ শুরু হয়েছে এবং সেখানে প্রচুর কর্মসংস্থান হবে। চলতি সপ্তাহে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর গড়ে তোলার জন্য আদানি গোষ্ঠী অর্থ লগ্নি করবে বলে জানান পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। জানা গেছে, এই প্রকল্পে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে। বন্দর গড়ে উঠলেই বদলে যাবে এখানকার জনপদ। সড়ক ও রেলপথ এসে পৌঁছাবে সমুদ্রতীরে।
advertisement
কর্মসংস্থান তৈরি হবে প্রায় ২৫ হাজার। তাজপুরে সমুদ্রবন্দর তৈরির পরিকল্পনা অনেকদিনের। দীর্ঘ টালবাহানার পর অবশেষে গত বছর কেন্দ্রের হাত ছেড়ে একক ভাবে বন্দর গড়ার পরিকল্পনা গ্রহণ করে রাজ্য। তারপর থেকেই বন্দর গড়ে তোলার প্রক্রিয়া এগোতে থাকে ধীরে ধীরে। বন্দর তৈরির জন্য ১৪ মার্চের মধ্যে আগ্রহপত্র চাওয়া হয়েছিল জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে। বহু সংস্থা আগ্রহ দেখিয়েছিল তাতে। তাদের মধ্য থেকেই এবার যোগ্য সংস্থা হিসেবে ভারতীয় এক সংস্থাকে বেছে নিয়ে বরাত দেওয়া হল।
আরও পড়ুনঃ চাঁদার জুলুমে নাজেহাল গাড়ি চালক থেকে বাইক আরোহী! পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
আর তাতেই আশায় বুক বাঁধছে রামনগর সহ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, 'দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পূরণ হতে চলেছে। তাজপুর বন্দর শুধু পূর্ব মেদিনীপুর জেলার নয় গোটা রাজ্যের অর্থনীতিকে বদলে দেবে। তাজপুর বন্দর আমাদের কাছে স্বপ্নের মত। বন্দর হলে এলাকার উন্নয়ন হবে। জলপথ, রেলপথ ও সড়কপথের সমন্বয় ঘটবে। বহু মানুষের কাজের সুযোগ হবে। এলাকার অর্থনীতিতে আরও উন্নততর হয়ে উঠবে।'
আরও পড়ুনঃ অটল টিংকারিং ল্যাবের স্থাপন ও রক্ষণাবেক্ষণ কীভাবে সম্ভব? জানুন...
তাজপুর গভীর সমুদ্র বন্দর নিয়ে এলাকার বিধায়ক ও রাজ্যের কারা মন্ত্রী অখিল গিরি বলেন, 'বন্দর গড়ে তোলার জন্য একটি সংস্থা শেষ পর্যন্ত অনুমতি লাভ করল, আশা করি খুব তাড়াতাড়ি কাজ শুরু হবে। এখানে বন্দর হলে শুরু পূর্ব মেদিনীপুর নয়। আশপাশের জেলা সহ রাজ্যের মানচিত্রে নতুন পালক জুড়ল বলা চলে। কর্মসংস্থান সহ পুরোপুরী ভোল বদল হবে এলাকার। শুধুই আমার বিধানসভা এলাকা বলে নয় সরকারের প্রশংসনীয় উদ্যোগ।'
Saikat Shee